প্রকৌশলী ফারুক শাজেদ
বাবাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পারিবারিক আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুরুষ অধিকার ফাউন্ডেশনের মহাসচিব প্রকৌশলী মো. ফারুক শাজেদ শুভ। সরকারের কাছে এ দাবি করে তিনি বলেন, পারিবারিক আইন সংশোধন করা হোক, যেন নারীর পক্ষ থেকে ডিভোর্স প্রদান করা হলে বাবারা সন্তানের জিম্মেদারী পান। ফলে একদিকে যেমন বাবাদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং অন্যদিকে ডিভোর্সের পরিমাণ কমে যাবে। পরিবারগুলি ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

রবিবার (১৯ জুন) বেলা ১১টায় বিশ্ব বাবা দিবসে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন ঢাকা মহনগর কমিটি আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

পুরুষ অধিকার মহাসচিব আরও বলেন, এ দেশের পারিবারিক আইন অনুযায়ী স্বামী বা স্ত্রী যেকোন পক্ষ থেকে ডিভোর্স হলেই মা তার সন্তানের জিম্মেদার হন। অথচ অনেক সময় ডিভোর্সের ক্ষেত্রে বাবাদের ভূমিকা থাকে না। ফলে একজন বাবা দোষী না হয়েও সন্তানের অধিকার থেকে বঞ্চিত হন। এই সমাজে বাবারা সবসময় অবহেলিত এবং বাবাদের অধিকার আদায়ের বিষয়ে কেউ কথা বলেন না। তাই বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন বাবাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

বক্তৃতায় পুরুষ অধিকার মিডিয়া মুখপাত্র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া বলেন, বৃদ্ধকালে বাবাদের ঘর ছাড়তে হয় কেন? বৃদ্ধাশ্রমে কেন ঠাঁই হয়? কিছু গৃহবধূরা বৃদ্ধ শ্বশুরকে সহ্যই করতে পারেন না! স্বামীকেও মানসিক চাপে ফেলেন। যদি শ্বশুর না হয়ে ওই গৃহবধূর বাবা হতেন! তাহলে কি অবহেলা করতেন? একজন বাবা তার সন্তানের ভালোর জন্য জীবনের প্রায় সবকিছুই ত্যাগ করতে সবসময় প্রস্তুত থাকেন। তবে কেন শেষ বয়সে বাবারা বৃদ্ধাশ্রমে থাকবে!

পুরুষ অধিকার মুখপাত্র আরও বলেন, ঘরে ঘরে পুরুষ নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। পুরুষ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পুরুষ নির্যাতন দমন আইন কবে হবে? এই দাবি কেন সংসদে ওঠে না! নারী শিশু আইনের অপব্যবহার হচ্ছে, নারী আইন সংশোধন করার দাবি জানান বক্তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মিউজিশিয়ান সুমন চৌধুরী রানা, সাংবাদিক এমদাদুল হক, সংগঠনের নেতা মোরছালিন বাবু সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এ কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর কমিটির যুগ্ম আহবায়ক মো. লেহাজ উদ্দিন সরকার।

উল্লেখ্য, বাবার প্রতি সন্তানের ভালোবাসা প্রকাশের একটি অন্যতম দিন বাবা দিবস। প্রতিবছর জুন মাসের তৃতীয় রবিবার বিশ্বব্যাপী বাবা দিবস উদ্যাপিত হয়। পশ্চিমা বিশ্বে এ ধারণা প্রচলিত হলেও আমাদের দেশেও দিনটি উদ্যাপন করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *