নিজস্ব প্রতিবেদক :
নওগাঁর মহাদেবপুর থানার এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে আইনজীবীর সহকারিকে মারপিটের অভিযোগ করা হয়েছে।

নওগাঁ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) বরাবর এ অভিযোগ করেছেন মহাদেবপুর উপজেলার চান্দাশ পশ্চিমপাড়ার আনছার আলীর ছেলে আইনজীবী সহকারি (শিক্ষানবিশ) কাওছার আলম।

তিনি অভিযোগ করেন, চান্দাশ ইউনিয়নের বিট পুলিশের দায়িত্বে থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল খালেক কোনো প্রকার অভিযোগ ছাড়াই গত ৫ মে অতর্কিতভাবে কাওছার আলমের বাড়িতে প্রবেশ করে। ভাত খাওয়া অবস্থায় কাওছারের শার্টের কলার ধরে টেনেহিঁচড়ে বাইরে নিয়ে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আইনজীবী সহকারি কাওছারকে মারপিট করেন এসআই খালেক।

মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে বলেও ওই আইনজীবী সহকারিকে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

কাওছার আলম অভিযোগ করেন, এসআই খালেক তাকে বেধড়ক মারপিট করেছে। হুমকি দিয়ে বলেছে, হাজারো আইনজীবী সহকারি আমার পকেটে থাকে। আমি কেমন পুলিশ, এটা ওসি, এসপি সবাই জানে। এর জীবন দু-চারটা মামলায় জড়িয়ে দিলেই শেষ।

স্থানীয়রা এগিয়ে এসে মারপিটের কারণ জানতে চাইলে এসআই খালেক ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি দেয়, আক্তার বানু নামের এক নারী জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে অভিযোগ দিয়েছে, সরকারি কাজে বাঁধা দিলে আপনাদেরও খবর আছে। তবে ওই মুহুর্তে কোন লিখিত অভিযোগ বা কাগজপত্র এসআই খালেক স্থানীয়দের দেখাতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন মারপিটের শিকার কাওছার। তিনি বলেন, এসআই খালেকের বাসায় যাতায়াত রয়েছে ওই নারীর।

গত ৮ মে সুবিচার চেয়ে পুলিশ সুপার বরাবর এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ করা হয়।

মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে মারপিটের ঘটনা অস্বীকার করে মহাদেবপুর থানার এসআই আব্দুল খালেক বলেন, আক্তার বানুর জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাওছারকে জিজ্ঞেসা করেছি মাত্র। তাকে মারপিট করা হয়নি।

আইনজীবী সহকারি কাওছার আলম বলেন, আমার পৈতৃক সুত্রে পাওয়া দীর্ঘদিন দখলে থাকা সম্পত্তি নিয়ে শরিকদের সাথে বিরোধ হওয়ায় মহাদেবপুর সহকারি জজ আদালতে ২২৪/১২ (বাটোয়ারা) মামলা চলমান রয়েছে। ওই মামলায় আমরা ১-৪ নং বিবাদী। মামলা চলাকালীন অবস্থায় মফেজান-শমসের এর পুত্রবধূ আক্তার বানুর কথায় প্রভাবিত হয়ে এসআই খালেক আমাকে মারপিট করেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *