লালমনিরহাট প্রতিনিধি \
আদিতমারীর সাপ্টিবাড়ীতে ঢাকা টোব্যাকো কোম্পানী চুরির ঘটনায় মুলহোতাদের গ্রেফতার করতে পুলিশ গড়িমশি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ বলছে আসামীদের খুজে পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ আসামীরা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে এলাকাবাসী জানান। মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাট জেলার আদিতমারী উপজেলার সাপ্টিবাড়ীস্থ সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা পরিষদ সদস্য সোহরাব হোসেনের নিজস্ব বাসভবনের ভিতরে ইউনাইটেড ঢাকা টোব্যাকো কোম্পানি লিমিটেড এর অফিস এবং মালামালের স্টোর রুম রয়েছে। উক্ত ডিপোর নাইট গার্ড হিসেবে একই এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান জাদু (৪৫) কর্মরত ছিল। চোরের একটি দল গত ১৯/৭/২০২০ ইং তারিখ গভীর রাতে ডিাপোর ভিতরে প্রবেশ করে নাইট গার্ডের রুমে বাহিরে থেকে হেজবল লাগিয়ে তাকে জিম্মি করে ৪০লক্ষ টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। এই দুর্ধষ চুরির ঘটনাটি নাইট গার্ড জাদু বাড়ির মালিক সোহরাব হোসেনকে জানালে তিনি নিজের ছেলেসহ অন্যান্য চোরদের রক্ষ্যার্থে নাইট গার্ড জাদুর হাত, পা ও মুখ বেধে রেখে একটি নাটকীয় ঘটনার জন্ম দেয়। এখবর পেয়ে উক্ত কোম্পানীর ডিপো ইনচার্জ ঘটনা স্থলে আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়। আদিতমারী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উক্ত নাইট গার্ডকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এব্যাপারে ডিপো ইনচার্জ রুহুল আমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। আটকৃত নাইট গার্ডকে থানা পুলিশ ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ১৬৪ ধারায় জবান বন্দী রেকর্ড করেন। নাইট গার্ডের জবান বন্দী অনুযায়ী তাকে রাজ সাক্ষী না করে অজ্ঞাত কারনে তাকে ওই মামলায় ১নাম্বার আসামী করা হয়েছে। যা মানোবাধিকার লঘ্যন হয়েছে বলে সচেতন মহল মনে করছেন। নাইট গার্ড জাদু ১৬৪ ধারায় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে জবান বন্দিতে যেসব আসামীদের নাম উল্লেখ করছেন তারা হলো, সাপ্টিবাড়ী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও লালমনিরহাট জেলা পরিষদ সদস্য সোহরাব হোসেনের পুত্র শাহিনুর আলম জুয়েল, খাতাপাড়াস্থ ছয়ফালের পুত্র জামাল, জামুরটারীর আলমের পুত্র রোমান, টেপাটারী গ্রামের আমুর পুত্র রিপন। এদের মধ্যে পুলিশ শুধু মাত্র রিপনকে গ্রেফতার করেছে। বাকী আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় এবং পুলিশ তাদের কাছে প্রভাবিত হওয়ার কারনে এই প্রভাবশালী আসমীদের গ্রেফতার করতে গরিমশি করছে বলে এলাকার সচেতন মহল সাংবাদিকদের জানান। এ প্রতিনিধি নাইট গার্ড জাদুর বাড়ীতে গেলে তার স্ত্রী হাউ মাউ করে কেদে বলেন, যারা কোম্পানীর মালামাল চুরি করে নিয়ে গেল তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার না করে আমার নিঅপরাধ স্বামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। তিনি এই মামলার সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবী জানান। আসামী গ্রেফতারের বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ওয়ালিউর রহমান বলেন, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তবে যে কোন একটি সমস্যার কারনে তাদেরকে গ্রেফতার করতে সম্ভব হচ্ছে না। এদিকে এই চুরির মামলার প্রকৃত আসামীদের রক্ষা করতে একটি প্রভাবশালী মহল অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।  
 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *