বিশেষ প্রতিবেদনঃ
শুক্রবার ২৪ মার্চ ২০২৩ সালের প্রথম রোজার ইফতারের পর আকাশে সকলের চোখে চাঁদ ও তারার একত্র বিরল দৃশ্য দেখে । বাঁকা চাঁদের নীচে দেখা গেছে এক আলোক বিন্দু বা অনেকে মনে করেছেন তারকা।

চাঁদ ও ওই ঐ তারার ছবি তুলে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছে নেটিজেনরা। অনেকে লিখেছেন ‘এটি দেখতে ঠিক আরবি হরফ ‘বা’ এর মতো। আবার কেউ কেউ এটিকে ‘ড়’ বর্ণের সঙ্গেও তুলনা করছেন।
চাঁদের এ ছবিটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। অভিনব এ ঘটনায় দেশজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দেয়। এ চাঁদ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে নানা গুজব ও নানান কাল্পনিক কাহিনী। সন্ধ্যার আকাশে প্রতিদিনের মতো চাঁদ ওঠে। কিন্তু চাঁদের নিচে লাগোয়া আরেকটি আলোকবিন্দু জ্বলজ্বল করতে দেখা যায়। তবে, কয়েক মিনিট পরে তা আবার হারিয়ে যায়।
তবে মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, মহাজাগতিক এ বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়েছে। তারা বলছে, গত ১ মার্চ থেকেই খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে বৃহস্পতি ও শুক্র গ্রহ। বিভিন্ন দেশে রাতের আকাশেই দেখা মিলছে এ বিরল দৃশ্যের। সূর্যাস্তের পর পশ্চিম আকাশের দিকে তাকালেই দেখা যাচ্ছে বৃহস্পতি ও শুক্র। আকাশে মেঘ না থাকলে কাছাকাছি আসার দৃশ্য খালি চোখেই দেখতে পারছেন যে কেউ।

বিজ্ঞান বিষয়ক ওয়েবসাইট অ্যাকিউ ওয়েদার বলছে, পৃথিবীর দুই প্রতিবেশী গ্রহ শুক্র ও মঙ্গল একে অপরের সবচেয়ে নিকটে আসতে চলেছে। একই সঙ্গে এক সারিতে দেখা যাবে শুক্র-মঙ্গল ও চাঁদকে। এমন ঘটনাকে ‘প্ল্যানেটরি কনজাংশন’ বলে আখ্যা করেছেন বিজ্ঞানীরা।পরিষ্কার আকাশে খালি চোখেই দেখা যাবে এমন মহাজাগতিক রোমাঞ্চকর দৃশ্য। পৃথিবী থেকে দুটি গ্রহকে তারার মতো দেখা গেলেও বোঝা যাবে দুটি গ্রহ কাছাকাছি চলে এসেছে। আগামী ২৬ মার্চ, মঙ্গল ও শুক্র গ্রহ নিজেদের কক্ষপথ থেকে সবচেয়ে কম দূরত্বে ও একই সারিতে অবস্থান করবে। ওই দিন সূর্যাস্তের পর পশ্চিম আকাশে দুটি গ্রহ দৃশ্যমান হবে।এর আগে, ২৫ মার্চ রাতে চাঁদের কাছাকাছি আসবে এই দুই প্রতিবেশী গ্রহ, যা মহাকাশ বিজ্ঞানে বেশ বিরল ঘটনা।জ্যোতির্বিজ্ঞানের ব্যাখ্যায়, বছরের শীতল ও উষ্ণতম মাসগুলোর মাঝামাঝি সময়কে বলা হয়ে থাকে ‘মিটিওরলজিক্যাল বসন্ত’ বা ‘নাক্ষত্রিক বসন্ত’। মিটিওরলজিক্যাল বসন্ত বলতে সাধারণত ১ মার্চ থেকে ৩১ মে পর্যন্ত সময়কে ধরা হয়।
মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা বলছে, সৌরজগতের গ্রহগুলো সূর্যের চারদিকে একই সমতলে বিভিন্ন কক্ষপথে ক্রমাগত ঘুরতে থাকার কারণে কখনও কখনও একই সরলরেখায় একাধিক গ্রহকে দেখা যায়। তখন মনে হয় গ্রহগুলো পরস্পরের কাছাকাছি চলে এসেছে, অথবা পরস্পরকে ছুঁয়ে ফেলছে। কিন্তু বাস্তবে গ্রহগুলো একে অপর থেকে অনেকটাই দূরেই অবস্থান করবে। কয়েক সপ্তাহ ধরেই বৃহস্পতি ও শুক্রের পরস্পরের কাছাকাছি আসার বিষয়টি নজরে এসেছে। তবে যতই কাছাকাছি তাদের দেখা যাক না কেন, মহাকাশে পরস্পর থেকে চারশো মিলিয়ন মাইল দূরত্বে অবস্থান করছে এই গ্রহ দুইটি।
তবে বিশ্ব অবতারবাদীরা বলছেন মহাজাগতিক এই দৃশ্য আজকে যারা বেঁচে আছেন তারা আর দেখার সুযোগ পাবে না। বিশ্ব ভ্রমান্ডের বয়স কয়েশ কোটি বছর পার হয়ে গেছে। এখন গ্রহ নক্ষত্রের এরুপ বিরল দৃশ্য পর্যায় ক্রমে দেখবে এই বিশ্ব ভ্রমান্ডের মানুষ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *