কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
ড্রেজারের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের মাধ্যমে পুকুর পুন:খনন নিষিদ্ধ থাকলেও ফুলবাড়ীর পুর্ব ধনিরাম কসবের পুকুর খনন চলছে অবৈধ ড্রেজারের সাহায্যে। নামমাত্র পুকুর খনন করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। যাচাই-বাছাই না করে ঠিকাদারদের চারটি বিলের মধ্যে তিনটি বিল পরিশোধও করেছে মৎস্য বিভাগ। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, কুড়িগ্রাম মৎস্য বিভাগের আওতায় ফুলবাড়ী উপজেলার বড়ভিটা ইউপির পুর্ব ধনিরাম কসবের পুকুর পুন:খনন ড্রেজারের সাহায্যে দুই সপ্তাহ যাবত খনন কাজ চলছে। শুষ্ক মৌসুমে পানি না থাকার অজুহাতে পুকুরটি অবৈধ ড্রেজারের সাহায্যে খনন করে ফায়দা লুটছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
পুকুর পুন:খনন প্রকল্প দুটি পুর্ব ধনিরাম কসবের পুকুর হতে নুরজামালের বাড়ী পর্যন্ত পাউবো বারোপিট পুনঃখনন বরাদ্দ ১৮লাখ ১৫হাজার এবং পুর্ব ধনিরাম কসবের পুকুর হতে নুরজামালের বাড়ী পর্যন্ত পাউবো বারোপিট পুনঃখনন (অংশ ২) বরাদ্দ ৯লাখ ৮শত ৭০টাকা বরাদ্দের কাজ কাগজে কলমে শতভাগ কাজ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাত করার অভিযোগ এলাকাবাসীর।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলন যেখানে সরকারি নিয়মে নিষিদ্ধ, সেখানে পুকুর খনন করছে ড্রেজারের সাহায্যে এবং উত্তোলনকৃত বালু দিয়ে পুকুরের গড় বাঁধা হচ্ছে।

কুড়িগ্রাম জেলা মৎস্য কর্মকর্তা কালীপদ রায় বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *