মো: নাজমুল হুদা মানিক ॥
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক জননেতা এডভোকেট মো: মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল অনেক অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মহানুভাবতা, দেশ প্রেম, মানবতা, বাঙ্গালী জাতির প্রতি ভালবাসা কথা তুলে ধরেন। ময়মনসিংহ সদর ও গফরগাঁও এর বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ১৯৭২ সালের কোন এক বৈশাখের রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ কন্যা আজকের জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ীতে ঘুমাচ্ছিলেন। বাইরে প্রচন্ড ঝড় হচ্ছিল। দমকা ঝড়ো হাওয়া ঘরে প্রবেশ করছিল। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান দরজা খুললেন। ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় গেলেন। বঙ্গবন্ধু বৃষ্টিতে ভিজছেন। এমন সময় জাতির জনকের কন্যার ঘুম ভেঙ্গে গেল। তিনি দেখলেন পিতা মুজিব বিছানায় নেই। দরজা খোলা। বারান্দায় কে যেন বৃষ্টির পানিতে ভিজছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা বারান্দায় গেলেন পিতা মুজিবকে জড়িয়ে ধরে চাদর দিয়ে গা মুছে দিলেন। পিতাকে মমতা মাখা আবেগ দিয়ে প্রশ্ন করলেন, এই মধ্যরাতে তুমি বিছানা ছেড়ে বারান্দায় এসে বৃষ্টির পানেতে ভিজছ কেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ কন্যাকে বললেন মা, দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছে। যুদ্ধের সময় পাকহানাদার বাহিনী আমার দেশের এক কোটি মানুষের ঘরবাড়ী ভেঙ্গে ঘুড়িয়ে দিয়েছে। অনেক মানুষের ঘরবাড়ী পুড়িয়ে জ্বালিয়েছে। তাদের আজ ঘববাড়ী নেই। আমার দেশের নিরপরাধ অসহায় মানুষগুলো ছিন্নমুল মানুষের মত বৃষ্টির পানিতে ভিজছে। আমি আমার বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজে এক কোটি মানুষের কষ্ট অনুভব করছি। এই হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই হলো আমার জাতির পিতা। আমাদের সবাইকে জাতির পিতার আদর্শ অনুসর করতে হবে। জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে সবাইকে সোনার মানুষ হতে হবে।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারন সম্পাদক জননেতা এডভোকেট মো: মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, জাতির জনকের কন্যা আমার প্রানপ্রিয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠেন। তাহাজ্জতের নামাজ পরেন। তজবি জপেন। ফজরের নামাজ আদায় করেন। এবাদত বন্ধেগী করেন। চা পান করেন। পত্রিকা পরেন। দেশের মঙ্গলের জন্য কাজে মনোনিবেশ করেন। এই হলো আমার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে থাকলে আমরা ভাল থাকি। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ মানুষ ভাল থাকে। তিনি যত অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহন করেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুস্থতার জন্য দোয়া কামনা করেন। দেশের উন্নয়নের জন্য সকলের সহযোগিতা চান।
এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, ১৯৭৩ সালে আলজেরিয়ায় অনুষ্ঠিত জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের (ন্যাম) চতুর্থ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ও কিউবা ছিল। সেই সময়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর সাক্ষাৎ হয়। সে সময় তিনি বঙ্গবন্ধুকে আলিঙ্গন করে বলে ছিলেন, ‘আই হ্যাভ নট সিন দ্য হিমালয়েজ। বাট আই হ্যাভ সিন শেখ মুজিব। ইন পারসোনালিটি অ্যান্ড ইন কারেজ, দিস ম্যান ইজ দ্য হিমালয়েজ। আই হ্যাভ দাজ হ্যাড দ্য এক্সপিরিয়েন্স অব উইটনেসিং দ্য হিমালয়েজ।’ অর্থাৎ ‘আমি হিমালয় দেখিনি। তবে শেখ মুজিবকে দেখেছি। ব্যক্তিত্ব ও সাহসে এই মানুষটি হিমালয়ের সমান। এভাবে আমি হিমালয় দেখার অভিজ্ঞতাই লাভ করলাম।’ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ফিদেল কাস্ত্রো আরো বললেন, তোমি তোমার দেশের মানুষের কাছে অনেক জনপ্রিয়, কি তোমার যোগ্যতা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ফিদেল কাস্ত্রোকে বললেন, আমি আমার দেশের মানুষকে ভালবাসি, এটি আমার যোগ্যতা। ফিদেল কাস্ত্রো আবার প্রশ্ন করলেন, কি তোমার অযোগ্যতা, জাতির জনক বললেন, আমি আমার দেশের মানুষকে অনেক বেশি ভালবাসি। জাতির জনকের জীবনের এসব ঘটনা তিনি মানুষের মাঝে বলে বেড়ান। মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরে নিজে পুলকিত হন। নিজেকে ধন্য মনে করেন। গর্ব অনুভব করেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন কর্মী হিসাবে। আজীবন জাতির জনকের আদর্শ অনুসরন করে বেঁচে থাকতে চান। পরিবারের সবাইকে গড়ে তুলেছেন জাতির জনকের আদর্শে। এই হলো এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। যিনি সুযোগ পেলেন বক্তৃতায় জাতির জনকের কথা বলেন। জাতির জনকের জীবনী সাধারন মানুষের মাঝে তুলে ধরেন। মানুষকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রানিত হতে উদ্বোদ্ধ করেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সহযোগিতা করার আহবান জানান। জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন, একজন মানুষ আছে যিনি সব সময় দেশের কথা ভাবেন। মানুষের কথা ভাবেন। মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের কথা চিন্তা করেন। তিনি আমাদের মমতাময়ী মা। তিনি আমাদের মমতায়ী আপা। তিনি আমাদের আস্তার ঠিকানা। দেশ ও জাতি যাঁর কাছে নিরাপদ। এই মানুষটিকে আমাদের প্রয়োজনেই বাঁচিয়ে রাখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *