মোঃ নূরনবী ইসলাম, খানসামা(দিনাজপুর) প্রতিনিধি: আষাঢ়ের শেষ দিকে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় পাট কাটার ধুম পড়েছে। কৃষকরা খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছে পাট কাটা ও জাগ দেয়ার কাজে। বাম্পার ফলনের আশা নিয়ে খানসামায় এবারে পাট চাষ হয়েছে ২৮শত ১০হেক্টর জমিতে। এ বছর উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে ৩১শত ৯০ হেক্টর জমি। যা গত বছরে ছিল ৩৪শত ৫০ হেক্টর জমা। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আবাদ কম হয়েছে বলে ব্যক্ত করছে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।
খানসামা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায় এবার উপজেলায় যে পাট চাষ করা হয়েছে এর মধ্যে দেশি জাতের পাট আবাদের ও তোষাপাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে পাট ফেলার সময় প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় ও আউশ ধানের চাষ বৃদ্ধি পাওয়ায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয় নি।
তারপরও ভরা মওসুম শুরুতে পাট কাটা ও জাগ দেয়া শুরু করতে পারায় ভালো আঁশ পাওয়া যাবে বলে মনে করছে কৃষি অফিস। যথাসময়ে বর্ষা আগমনে কৃষকরা তাদের শ্রমের যথাযথ মূল্য পাবে বলেও মনে করছে উপজেলার কৃষকেরা। জানা যায় চলতি মওসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সব।ধরনের ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। যার ব্যতিক্রম ঘটেনি পাটেও।
একেতো পাটের সম্মানজনক দাম এবং তার উপর আবহাওয়ার প্রতিকূল থাকায় কৃষকদের চোখে মুখে হাসির ঝিলিক দেখা যাচ্ছে। তাই ভরা বর্ষ মওসুমে এবং আষাড়ের শেষ দিকে পুরো দমে পাট কাটায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। পাট কাটার পাশাপাশি চলছে জাগ দেয়ার কাজ। খাল-বিল, নদী-নালা, পুকুরসহ নিচু অঞ্চলে পর্যাপ্ত পানি থাকায় কৃষকরা স্বচ্ছ আশের আশা নিয়ে পাট জাগ দিচ্ছে।
এব্যাপারে খানসামা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ এজামুল হক জানান, সার কীটনাশক সংকট না হওয়ায় ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটে বাম্পার ফলন হয়েছে। সরকারি তদারকিতে পাটের দাম প্রত্যাশিত থাকলে কৃষকেরা খুঁজে পাবে তাদের শ্রমের মুল্য এমনটিই আশা করছে এলাকার পাট চাষীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *