por-madergans-lilmonerhat-kraim1
এম.এস.সাগর, কুড়িগ্রাম:
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি সহযোগিতায় মাদারগঞ্জ সড়ক পথ, গঙ্গাধর নদের ভাঙ্গন রোধে মাদারগঞ্জ বাজার ও বিওপি রক্ষার্থে ১টি প্রকল্পে ৪টি ঠিকাদারী কন্সট্টাকসন ঠিকাদার মেসার্স রুপান্তর ও আশরাফুল ইসলাম কর্তৃক ৩৯০মিটার অংশে ৮কোটি ৩১লক্ষ ৮৮হাজার টাকার ব্লক তৈরির কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জানাযায়, লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মতিউর রহমান এবং উপ-সহকারী প্রকৌশলী মহিবুল ইসলাম কে ৪টি ঠিকাদারী কন্সট্টাকসন ঠিকাদার মেসার্স রুপান্তর ও আশরাফুল ইসলাম ম্যানেজ করে প্রভাব খাটিয়ে ব্যাপক অনিয়ম করে সরকারী বিধি অমান্য করে মাদারগঞ্জ সড়ক পথ, গঙ্গাধর নদের ভাঙ্গন রক্ষার্থে ব্লক তৈরির কাজে লোকাল বালু, নিুমানের সিমেন্ট, পাথর দিয়ে সরকারী নীতিমালাকে অমান্য করে কাজ করায় নাগেশ্বরী ফুলবাড়ী উপজেলা ও কচাকাটা থানাসহ ১৭টি ইউনিয়ন, সোনাহাট স্থলবন্দরে যোগাযোগ ব্যবস্থার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে যাবে। সরেজমিনে, ঠিকাদারী কন্সট্টাকসন মাদারগঞ্জ সড়ক পথ, গঙ্গাধর নদের ভাঙ্গন রক্ষার্থে ব্লক তৈরির কাজ যে ব্লকগুলো তৈরি হচ্ছে তা কিউরিং না দেওয়ায় ভেঙ্গে যাচ্ছে। দায়িত্বরত বলেন, ওয়ার্ক অর্ডার না পাওয়ায় লোকাল বালু দিয়ে ব্লক তৈরি করা হচ্ছে। ব্লকের সাইজ ৪০-৪০, ৩০-৩০।
কতভাগে কাজ হচ্ছে সেটা আমি জানিনা তবে ঠিকাদারের নির্দেশ মোতাবেক কাজ করা হচ্ছে। সাইডে পানি উন্নয়ন বোডের ওয়ার্ক এসিস্ট্যান্ট ও ইঞ্জিনিয়ার বাঁধ নির্মানের ব্লক তৈরির কাজ দেখার জন্য একদিনেও আসেননি। বাঁধ নির্মাণে ব্লক তৈরির নিয়মাবলীর বোর্ড ঝুলিয়ে দেওয়া হয়নি। মুলত কাজ দেখার মত কেউ নেই। এলাকাবাসী জানায়, নদী ভাঙ্গনের হুমকির মুখে কন্সট্টাকসনটির নিুমানের সামগ্রী দিয়ে ব্লক তৈরি করছে। বাঁধ নির্মান করা হলে অচিরেই বিলিন হয়ে যাবে। এতে ১৭টি ইউনিয়নের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিছিন্ন হয়ে যাবে। ঠিকাদারা ক্ষমতাসীন দলের নেতা হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা তার কথা মত চলে। নি¤œমানের কাজ হচ্ছে। স্থানীয় মানুষদের নিয়ে কমিটি করে বাঁধ নির্মান করা হলে খুব ভাল হত। মাদারগঞ্জ সড়ক পথ, গঙ্গাধর নদের ভাঙ্গন রোধ হবে না। নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ বলেন, শুনেছি বাঁধ নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনকে এ কাজের ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন কর্মকর্তা আমাকে অবগত করেনি। ঠিকাদার আশরাফুল ইসলাম কে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। লালমনিহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বক্কর সিদ্দিক এর সাথে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি। স্থানীয় জনগণের মধ্যে নানান জিজ্ঞাসা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখবেন কী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *