ইশরাত জাহান চৌধুরী, মৌলভীবাজার ::
আমেরিকান ডিভি লটারী বিজয়ী ও ভিসা বঞ্চিতরা ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১২সাল পর্যন্ত মার্কিন অভিবাসন নীতির আলোকে বাংলাদেশী উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ ডিভি লটারীতে বিজয়ী হয়ে পাসপোর্ট, স্পনসরশীপ, মেডিকেল টেস্ট ও ভিসা ফিস প্রদান করেও যুক্তরাষ্টে যেতে পারেননি। তারা দূতাবাসের কিছু অসাধু কর্মচারী ও দালালের কারণে প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আমেরিকান ডিভি লটারী বিজয়ী ও ভিসা বঞ্চিত বাংলাদেশী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি সৈয়দ ইউনুস আলী তার লিখিত বক্তব্যে এ অভিযোগ করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, ৪শ জন ডিভি লটারী বঞ্চিত আমেরিকার ভিসার পেছনে ঘুরতে গিয়ে ভিটা-বাড়ী বিক্রি করে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এর নিকট আবেদন করা হলে গত ২০০০ সালের ১২ এপ্রিল ভিসা প্রক্রিয়াকরনের পদ্ধতি পরিবর্তন করা হয়। কিন্তু, কিছু অসাধু দালাল এর কারনে পরিবর্তিত পদ্ধতিতেও কোন কাজ হয়নি। বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়সহ আমেরিকান দূতাবাসে একাধিক সময়ে চিঠি দিয়েও এ পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকান ডিভি লটারী বিজয়ী ও ভিসা বঞ্চিত বাংলাদেশী সমন্বয় পরিষদের সাধারন সম্পাদক বিভাস রঞ্জন দাশ, নির্মেলেন্দু পালসহ অন্যান্যরা।