রাজিবপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার বদরপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাকোয়াত হোসাইন (৪৩) গত রবিবার (১৬ মে) পরকীয়া করতে গিয়ে গ্রামবাসীর হাতে আটক হয়। আটকের পর গ্রামবাসী তাকে গাছের সাথে বেঁধে মার-পিট করে মাথার চুল ন্যাড়া করে দেন। স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোদ্দার এবং অবসর প্রাপ্ত সেনা সদস্য আঃ রশিদ এর জিম্বায় তাকে ছেঁড়ে দেয়া হয়।

স্থানীয় কয়েক জন যুককের নিকট জানা গেছে, চর সাজাই মাষ্টার পাড়া গ্রামের হাকিম ব্যাপারীর মেয়ে, একই এলাকার বেলাল হোসেনের স্ত্রী এক ছেলে সন্তানের জননী বদরপুর দাখিল মাদ্রাসার সাবেক ছাত্রী দিনা আক্তার (২৫) এর বাড়ীতে মাঝে মধ্যেই যাওয়া-আসা ছিল ওই সুপারের। স্বামীর অনুপস্থিত থাকার পরও ঘটণার দিন রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিনার ঘরে মানুষের আনা-গোনা শুনে ওই যুবকরা দিনা আক্তারকে ডেকে বের করে এবং ঘরে ওই সুপারকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে।

সুপারের জবানবন্ধী অনুযায়ী তারা আরও জানায়, কুড়িগ্রাম থেকে ফেরার পথে রাত আনুমানিক ১০টার দিকে ওই সুপার দিনার ঘরে প্রবেশ করেছিল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বদরপুর দাখিল মাদ্রসার একজন শিক্ষক জানান, “আমাদের মাদ্রসার সহকারী শিক্ষক সামছুল হকের সাথে ওই মহিলার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। সামছুল হক ও দিনার অনৈতিক সম্পর্কের একটি ভিডিও ছিল সামছুল হকের মেমোরীর মধ্যে, যা বিচারের বৈঠকে ভিডিও নষ্ট করার কথা বলে সুপার নিয়েছিল। ওই অনৈতিক ভিডিওকে পুঁজি করে সুপার দিনার সাথে সম্পর্ক গড়ে কয়েকমাস যাবৎ যাতাযাত করতো তার বাড়ীতে।”
দিনা আক্তারের ভাই জাহিদুল ইসলামের নিকট এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমগোরে পুরাতন চেয়ারম্যান বিচারের কথা কইয়া তাকে ছাইরা দিছে।

এহন বিচারে কি হবো জানি না।”
এ সম্পর্কে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার সাকোয়াত হোসাইনের নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, “তালাক নামার কাজে ডেকে নিয়ে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” বিষয়টি নিয়ে কথা হয় অত্র মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির সভাপতি আব্বাস আলীর সাথে।

তিনি সাংবাদিককে জানান, “ওটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার কাছে কোন অভিযোগ আসে নাই। অভিযোগ পাইলে, ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

এ বিষয়ে কোদালকাটি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জোদ্দার জানান, “খবর পেয়ে আমি এবং রশিদ আর্মি ঘটণাস্থলে গিয়ে দেখি গ্রামবাসী সাকোয়াত সুপারকে গাছের সাথে বেঁধে রেখেছে, তাকে মার-পিট করা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য তাকে উদ্ধার করে তার সাথে থাকা একটি মোবাইল সেট, একটি ব্যাগ, ব্যাগে থাকা কাগজপত্র, পাজামা ও জুতা আমাদের জিম্মায় রেখে পরবর্তীতে সুষ্ঠ সুরাহা করার আশ্বাস দিয়ে তাকে ছেড়ে দেই।”
 
 
 
 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *