নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
রুয়েটের বর্তমান ভিসি’র নানা অনিয়ম আর দূর্নীতি নিয়ে গণমাধ্যম ফলাও ভাবে সংবাদ প্রকাশ হয়। সংবাদের পরিপ্রেক্ষিতে ইউজিসি-সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা বিষয়গুলো তদন্ত শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৩০ জুলাই রুয়েটে ইউজিসি’র তদন্ত টিম আসেন। তদন্ত শেষে ঐদিন বিকেল ৫ টায় তারা ফিরে যান।
গত শনিবার (৩০ জুলাই) রুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর এর মেয়াদের শেষদিন ছিলো। তার চার বছরের সকল দূর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অপকর্মের তদন্ত করতে রুয়েটে আসেন ইউজিসি’র তদন্ত কমিটি। কমিটির তদন্তে রুয়েটের বেশ কিছু শিক্ষক ও কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাক্ষাৎকার নেন। তথ্য ও প্রমানাদিসহ কথা বলেন শিক্ষক ও কর্মকর্তারা। এতে ইউজিসি’র তদন্তকারী সদস্যরা রেজিস্ট্রার কাছে এর প্রমানাদির সহ জবাব চান! রেজিস্ট্রার জবাব দিতে পারেনি বলে জানা গেছে।
এদিকে রুয়েট সাবেক ভিসি প্রফেসর ডা. মো. রফিকুল ইসলাম শেখের মেয়াদ ৩০ জুলাই শেষ হওয়ার পরও এখনও তিনি বিভিন্ন ফাইল পত্র সই করছেন বলে রুয়েট একাধিক সূত্রে জানা যায়।
সোমবার (১ আগষ্ট) দুপুর ১২ ঘটিকার সময় রুয়েট অডিট সিনিয়র এ্যাসিসটেন্ট ডাইরেক্টর আতিকুর রহমান সাবেক ভিসির নিকট গিয়ে ঠিকাদারী কাজের ফাইল সই করে নিয়ে আসেন। রুয়েট ইলেকট্রিক ডিপার্টমেন্ট থেকে ফাইল সই করে নিয়ে আসার পথে রুয়েট অফিসার ও শিক্ষকদের তোপের মুখে পড়েন আতিকুর।
রুয়েটের একাধিক শিক্ষক ও অফিসারের সাথে কথা বললে আমাদের জানান যে রুয়েটের ইতিহাসে এটি একটি নেক্কার জনক ঘটনা।
ফাইল সইয়ের বিষয়ে কথা বলতে আতিকুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হইলে তিনি বলেন, যে আমি রুয়েট রেজিস্ট্রার সেলিম হোসাইনের নির্দেশে সই করে নিয়ে আসি। আতিকুর রহমান রুয়েট হিসাব শাখার প্রধান নাজিম উদ্দীনের শ্যালক।
রুয়েট রেজিস্ট্রার সেলিম হোসাইনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হইলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ফাইল স্বাক্ষর ও তদন্তের বিষয়ে সাবেক রুয়েট ভিসি প্রফেসর ডা. মো. রফিকুল ইসলাম শেখের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ইউজিসি’র তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম সেলিম (০১৭২২০৭৯৩৭৮) এর নম্বরে ফোন দিলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *