রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

রৌমারী উপজেলা মহিলা লীগের কাউন্সিলকে ঘিরে উত্তেজনা, হট্টোগোল ও প্রায় ৪ ঘন্টা অবরুদ্ধ করে রাখা হয় জেলা নেতৃবৃন্দদের। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়োন্ত্রণে আনলেও শর্তসাপেক্ষে জেলা নেতৃবৃন্দদের মুক্ত করা হয়। বিষয়টি নিয়ে শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত গোটা এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করে। চলে নানা কৌশলী কুটচালের। অবশেষে উপজেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দদের হস্তক্ষেপে ৫ জানুয়ারী পুন কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত হলে উত্তেজনার নিরসন হয়।

শুক্রবার রৌমারী উপজেলা হলরুমে সকাল ১১ টার দিকে কাউন্সিল উপলক্ষে বর্ধিতসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সাবেক এমপি ও কুড়িগ্রাম জেলা মহিলা লীগের সভাপতি আহমেদ নাজনীন সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক খুরশিদা বেগম লিলি, জেলা আ’লীগের সহ সভাপতি চাষী আব্দুল করিম, সহ সভাপতি নুর ইসলাম। বর্ধিত সভার একপর্যায়ে উপজেলা মহিলা লীগের কাউন্সিলের ঘোষণা দেয়া হয়। এতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে মোট ১০জন প্রার্থী হন।

রৌমারী উপজেলা মহিলা লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আঞ্জুমান আরা জানান, মহিলা লীগের আহ্বায়ক রেজিয়া বেগম মারা যাওয়ার পর দীর্ঘ ৯ বছর ধরে পুর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য কাউন্সিলের প্রয়োজন দেখা দেয়। অনেক চেষ্টা তদবিরের পর কাউন্সিল হবে মর্মে সবার মনে একটি উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু জেলা নেতৃবৃন্দরা কাউন্সিল না করে জেলা থেকে কমিটি দেয়া হবে ঘোষণা দিলে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক নুরজাহান বেগম জানান, প্রায় ৬ শতাধিক মহিলা কর্মী আজ উপস্থিত হয়েছেন কাউন্সিল হবে বলে। তারা তাদের ভোটের মাধ্যমে তাদের নেত্রী নির্বাচিত করবেন। কিন্তু জেলা নেতৃবৃন্দরা পকেট কমিটি দেয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছে। এটা হতে দেয়া হবে না।

উপজেলা আ’লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সাবেক এমটি জাকির হোসেন জানান, মহিলা লীগের কাউন্সিল নিয়ে কিছুটা মতানৈক্য দেখা দিলে আমরা সেটার সমাধান করে দিয়েছি। ৫ জানুয়ারী কাউন্সিল ও কনভেনিং কমিটির ১নং সদস্যকে জয়েন্ট কনভেনারের দায়িত্ব দিতে হবে এমন ২টি শর্ত মেনে এ পরিস্থিতির সমাধান করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *