নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার সাবেক ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় সাম্প্রতিক সময়ে অতিবৃষ্টির কারণে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে রক্ষা করার দাবি জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও এলাকাবাসীরা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বিদ্যালয় বিহীন এলাকায় পনেরশো প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পের আওতায় তিনটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সাবেক ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ায়। এর মধ্যে ৭০ লক্ষ ২৬ হাজার হাজার টাকা ব্যয়ে নীলকমল নদীর তীরে কালির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয় । ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু করে বর্তমানে ২২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে বিদ্যালয়টির ৫ শিক্ষক।

সাম্প্রতিক সময়ের অতিবৃষ্টির কারণে বিদ্যালয় ভবনের পেছনের দিকের পাড়ের মাটি সরে গিয়ে ধ্বস নেমে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভবনের গ্রেড বিম ও পিলারের নিচের অংশ বের হয়ে এসেছে। যা আর একটু বৃষ্টি হলেই মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বিদ্যালয়টি। তাই ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা করতে সংশ্লিষ্ট দপ্তর সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

স্থানীয় বাসিন্দা যুবক আব্দুল হাকিম জানান, কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টির ভবনের পিছনের মাটি ধ্বসে নদী গর্বে বিলীন হয়ে গেছে। তাই এলাকাবাসীর দাবী এটি দ্রুত সমাধান করা হোক।

বিদ্যালয়ের সভাপতি আব্দুল জলিল জানান, অতি বৃষ্টির কারনের বিদ্যালয়ের পেছনের মাটি সরে যাওয়ায় বিদ্যালয়টি এখন হুমকির মুখে,দ্রুত সমাধানের জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

সাবেক বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটির দাসিয়ারছড়া ইউনিটের সভাপতি আলতাফ হোসেন জানান, বিদ্যালয়টি নদীর উপরে হওয়ায় বৃষ্টির পানিতে মাটি ধুয়ে গিয়ে ভবনটি ঝুকিতে আছে। শুনতে পেরেছি শিক্ষকরা অভিযোগ করার পরও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি অনুরোধ জানাচ্ছি।

ওই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান জানান, এ বছর অতি বর্ষনের কারনে বিদ্যালয়ের পেছনের অংশটুকু নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বেজ ঢালাই বের হয়েছে । বিষয়টি সমাধানে জন্য আমি শিক্ষা অফিস সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। দ্রæত এর সমাধান না করা হলে বিদ্যালয়টি মারাত্বক ক্ষতির মুখে পড়বে।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকতা রিয়াজুল ইসলাম জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের স্লিপ ও দূর্যোগের বরাদ্দ থেকে বস্তায় বালু ভরে বাঁধ দিয়ে যতটুকু রক্ষা করা যায় আমরা দ্রুত চেষ্টা করব।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার জানান, বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ার ছড়ায় নদীর কোল ঘেঁষে কালির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। আমার কাছে একটি আবেদন এসেছে বিদ্যালয় ভবনের পিছনের মাটি ধ্বসে যাওয়ায় বিদ্যালয়টি খুব ঝুঁকিতে আছে। শুধু মাটি ভরাট করে সমাধান করা যাবে । সরকারি ৩ থেকে ৪ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেলে স্কুলটিকে টিকিয়ে রাখা যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *