ঝালকাঠি প্রতিনিধি:ঝালকাঠিতে শোক শোভাযাত্রা ও স্মরণসভার মধ্য দিয়ে দুই বিচারকহত্যা দিবস পালিত হয়েছে।এ উপলক্ষে রবিবার নানা কর্মসূচি পালন করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক ও কর্মকর্তা- কর্মচারীবৃন্দ। সকাল সাড়ে ৮টায় আদালত চত্বর থেকে একটি শোক শোভাযাত্রা বের হয়ে নিহত বিচারকদের স্মৃতিস্তম্বে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন জেলা ও দায়রা জজ মো. শহীদুল্লাহ,জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী , চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ পারভেজ শাহারিয়া ,জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসম মোস্তাফিজুর রহমান
(মনু)।জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারকবৃন্দ নিহত বিচারকদের স্মৃতিস্তম্ভে পুস্পার্ঘ অর্পণ করেন। সেখানে দুই বিচারকের আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করা হয়।

২০০৫ সালের ১৪ নভেম্বর জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) জঙ্গিদের আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঝালকাঠির দুই বিচারক নিহত হন। সকাল ৯ টার দিকে সরকারি বাসা থেকে কর্মস্থলে যাবার পথে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসে এই নৃশংস হামলা চালানো হয়। ঘটনাস্থলেই মারা যান বিচারক জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ সোহেল আহম্মেদ এবং বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় বিচারক জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ জগন্নাথ পাঁড়ের। সে সময় আহত অবস্থায় ধরা পড়ে হামলাকারী জেএমবি সুইসাইড স্কোয়াডের সদস্য ইফতেখার হাসান আল মামুন। ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রেজা তারিক আহমেদ ২০০৬ সালের ২৯ মে সাতজনকে ফাঁসির আদেশ দেন। উচ্চ আদালতে সে রায় বহাল রাখায় দেশের বিভিন্ন জেলখানায় ২০০৭ সালের ২৯ মার্চ ৬ শীর্ষ জঙ্গির মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়।
এরা হলেন- জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমান , সেকেন্ড ইন কমান্ড সিদ্দিকুল ইসলাম বাংলাভাই , সামরিক শাখা প্রধান আতাউর রহমান সানি , উত্তরাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী আবদুল আউয়াল , দক্ষিণাঞ্চলীয় সমন্বয়কারী খালেদ সাইফুল্লাহ ও বোমা হামলাকারী ইফতেখার হাসান আল মামুন। ২০১৬ সালের ১৬ অক্টোবর খুলনা কারাগারে জঙ্গি আসাদুল ইসলাম আরিফের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *