লালমনিরহাট প্রতিনিধি
চোরাই মোটরসাইকেল বিক্রির টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে এক স্কুলছাত্রকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় মধু চন্দ্র (১৯) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৬জুন) দুপুরে উপজেলার ভাদাই ইউনিয়নের বড়াবাড়ি রুহানী নগরে একটি নালা থেকে স্কুলছাত্র ফরহাদ আলীর (১৬) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মধু চন্দ্র ভাদাই ইউনিয়নের বড়াবাড়ি রুহানীনগর এলাকার মৃত সুবাশ চন্দ্রের ছেলে। আর মৃত স্কুলছাত্র ফরহাদ একই ইউনিয়নের শীববাড়ি এলাকার গরু ব্যবসায়ী শাহাজান আলীর ছেলে এবং সারপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।
পুলিশ জানায়, গ্রেফতার মধু চন্দ্র শিশুকালে বাবাকে হারিয়েছেন এবং মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়েছে। এরপর চাচার বাড়িতে বড় হন তিনি। কিশোর বয়স থেকে সে নারায়ণগঞ্জের একটি কারখানায় কাজ করে। মধু মাঝে মধ্যে বাড়ি এসে বিভিন্ন জায়গায় চুরি করে আবার ঢাকা চলে যায়। সম্প্রতি একটি মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি ফিরে মধু। কয়েকদিন আগে সেই মোটরসাইকেলটি পাশে শীববাড়ি গ্রামের স্কুলছাত্র ফরহাদের কাছে বিক্রি করে। ওই মোটরসাইকেলের টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধ ছিল নিহত স্কুল ছাত্রের সাথে। স্থানীয়রা জানান, ছোট বেলায় বেশ ভালোই ছিল মধু চন্দ্র। নারায়ণগঞ্জে কাজে গিয়ে সে উচ্ছৃঙ্খল হয়ে উঠেছে।
এদিকে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি স্কুলছাত্র ফরহাদ। ছেলের সন্ধান না পেয়ে আদিতমারী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন ফরহাদের বাবা।
ওই জিডির সূত্র ধরে অনুসন্ধানে নামে পুলিশ। প্রথমদিকে ফরহাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি মধু চন্দ্রের কাছে পাওয়া যায়। এসময় তাকে আটক করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে মধুর দেওয়া তথ্যমতে তার বাড়ি থেকে অস্ত্র ও পাশের নালা থেকে ফরহাদের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আদিতমারী থানার ওসি, (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম বলেন, ফরহাদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছেন মধু। তবে মোটরসাইকেলটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। নেশাগ্রস্ত অবস্থায় হত্যাকান্ড ঘটায় মধু। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করা হচ্ছে। নিখোঁজ জিডি হত্যা মামলায় রূপান্তর করে মধুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।