ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাটঃ
জয়পুরহাট জেলার মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের নৌকা মার্কার বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান কে আবারও নৌকার মাঝি ও চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান ইউনিয়নবাসী।

জানা গেছে, আতাউর রহমান ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহনের জন্য ভারতে পরিতাম ইউথ ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করেন।
পরে ১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত ছাত্রলীগ করে ১৯৮৩ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে ২০১২ থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৮৮ সাল হতে ২০০৩ সাল পর্যন্ত মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করাকালীন ২০০৩ সালে দলিও মনোনয়ন পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হোন।
পরে আবারও ২০১৬ সালে দ্বিতীয় বার আবারও দলীও মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতিক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ২০১৮ সালে জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসাবে গণ্য হয়ে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়নের সর্ব ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার অন্তর কেড়েছেন। নিজের কথা না ভেবে জনগণের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন।

বিগত দিনে মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়নের উন্নয়নে সরকারি ও নিজের সহযোগিতায় বিভিন্ন রাস্তাঘাট, কালভার্ট, পুরাতন রাস্তা মেরামত, নতুন রাস্তা নির্মাণ, মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির নির্মাণ। ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার প্যানেল ও টিওবওয়েল স্থাপন।সরকারি অনুদান জনসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়াসহ মহামারী করোনা মূহুর্তে তিনি স্ব – শরীরে তার ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে ঘুরে বাড়িতে, বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে এসেছেন।

তিনি ইউনিয়ন বাসীর উন্নয়নে এমন অনেক অসংখ্য উন্নয়ন মূলক কাজ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। ইউনিয়নবাসীর যে কোন সমস্যায়, তিনি গুরুত্বসহকারে সমাধানের চেষ্ঠা করেন বিধায় প্রতিনিয়ত হৃদয়ের টানে ভালোবাসার টানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাঁর কাছে ছুটে আসেন।

এ দিকে মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়ন বাসীর ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বর্তমান জনসাধারণ তার প্রতি শতভাগ সন্তুষ্ট। তিনি মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়ন বাসীর কল্যাণে যে পরিমান উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করেছেন তা দৃশ্যমান এবং প্রশংসাযোগ্য।

মোহাম্মাদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এর উন্নয়ন মূলক কাজ ও জনপ্রিয়তা জানতে সরেজমিনে ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে তারা জানান, মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়ন বাসীর সৌভাগ্য যে আতাউর রহমানের মত একজন সৎ জনবান্ধব, দক্ষ, মেধাবি, পরিশ্রমি চেয়ারম্যান পেয়েছেন।

তিনি জনবান্ধব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিবার্চিত হওয়ার পর এই ইউনিয়নের যে পরিমান উন্নয়ন কাজ করেছেন তা বিগত দিনে কোন চেয়ারম্যান করতে পারেনি। জরাজীর্ণ রাস্তাঘাট গুলোকে সংস্কার করে নতুন রাস্তা নির্মাণ করে ইউনিয়ন বাসীর যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ণ সাফ্যলের স্বাক্ষর রেখেছেন এই চেয়ারম্যান। তাই আমাদের প্রাণের দাবি জনবান্ধব আতাউর রহমান চেয়ারম্যান আবারও যেন এই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্র দেয়।

মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এই ইউনিয়নের মানুষের পাশে তিনি ছিলেন, আছেন এবং ভবিষৎতেও থাকবেন এবং জনগণের আশা পুরণে এবং উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আবারও নৌকা প্রতিক তাকেই দিবেন বলে তিনি এবং ইউনিয়নের জনসাধারণ আশা ব্যক্ত করেছেন।

মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সাবেক সভাপতি শ্রীঃ প্রকাশ চন্দ্র মহন্ত বলেন, একসাথে দীর্ঘদিন রাজনীতি করা কালীন কোনদিন তাদের মধ্যে কোন বিবাদ বা মনমালিন্য হয়নি এবং বর্তমান চেয়ারম্যান এই ইউনিয়নের হিন্দুদের কাছে দেবতা ও মুসলমানদের কাছে পিরের মতো। তিনি এই ইউনিয়নের জনসাধারণের বিপদে আপদে নিজে স্ব-শরিরে উপস্থিত থেকে সমাধান করেন।

মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও আদিবাসী সংগঠনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান নান্টু জানান, এই ইউনিয়নের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমানের কোন বিকল্প নেই। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমাদের দাবি আতাউর রহমানকে আবারও নৌকার মাঝি করবেন এবং আমার আবারও ভোট দিয়ে তাকে পুনরায় এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করবো।

মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ নাজমুল জানান, এই ইউনিয়নের আওতায় কোন হাট বাজার বা ইউনিয়নের উল্লেখযোগ্য কোন আয়ের উৎস না থাকা সর্ত্বেও চেয়ারম্যান আতাউর রহমান স্থানীয় এমপি মহোদয়ের সহযোগিতা ও নিজ অর্থায়নে ইউনিয়নবাসির কল্যাণে কাজ করে চলেছেন তাই এমন চেয়ারম্যানকে আমরা হারাতে চাইনা এবং তাকে পুনরায় এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চাই এটা আমাদের প্রাণের দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *