কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অপকর্মের শিরোমনি মাহাবুবার রহমান নতুন করে প্রতারনার আশ্রয় নেয়ায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগে জানা গেছে, উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াইর ঘুরায় ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের মোঃমাহাবুবার রহমান প্রায় দুইডজনের অধিক মামলায় অভিযুক্ত। প্রাঃ বিদ্যাঃ সহকারী বিতর্কিত শিক্ষক মোঃমাহাবুবার রহমানের বিভিন্ন অপকর্মের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগ কাজে লাগিয়ে গত ২৫/০৩/২০২১তারিখে ভারতীয় রৌপ্য চোরাচালানকালে কৌশলে মাহাবুবার পালাতে সক্ষম হলেও অবৈধভাবে ভারত থেকে পাচারকৃত মূল্যমান রৌপ্য দায়িত্বে থাকা সীমান্তের বিজিবি আটক করতে সক্ষম হন।

আটককৃত রৌপ্য সংশ্লিষ্ট কাস্টমসে জমা প্রদানকরে রাষ্ট্রপক্ষ অর্থাৎ বিজিবি বাদী হয়ে উক্ত মাহাবুবার রহমানকে পলাতক আসামী দেখিয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪সালের ২৫এর (খ) ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করেন, যার যশোর বেনা পোলপোর্ট থানার মামলা নাং-৫২/১৪৮, তারিখ ২৫/০৩/২০২১।সরকার বিদ্যমান করোনার কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে অদ্যাবদি পর্যন্ত দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছেন।

তবে মাঝে অনলাইনে শিক্ষার কার্যক্রম কিছু দিন চালু ছিলো, কিন্ত সেটা নিয়ন্ত্রিত ছিলো উপজেলা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক। উক্ত সীমান্ত চোরাচালান মামলার অন্যতম পলাতক আসামি মাহাবুবারকে রক্ষা করতেই উলিপুরউ উপজেলা শিক্ষা অফিসার কে গোপন করে সরকারি নিয়ম বহির্ভূত সংশ্লিষ্ট খারিজা কামাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর একটি দুষ্ট চক্রের লোকজন করোনাকালে কথিতমিটিং এর নাম করে সুকৌশলে ব্যাক ডেটে নথি পত্রজাল জালিয়াতির মাধ্যমে ২৫/০৩/২০২১ তারিখে চোরাচালান মামলার পলাতক আসামি মাহাবুবারকে স্কুলে উপস্থিত দেখানো হয়েছে। সরকারি বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে পাতানো/কথিতমিটিং কে মনে করতে পারলেন, সেটা নিয়ে উলিপুর শিক্ষা অফিস ও স্থানীয় জন মনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

উলিপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ আলীই মরান জানান, করোনা কালীন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। সীমান্ত চোরা চালান মামলার পালাতক আসামী মাহবুবার এর পরে ও কোন কার্যক্র মের লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, করোনা কালীন সময়ে অফিস বন্ধ রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এলাকাবাসী জানান, প্রায় সময়েই গণমাধ্যমের শিরোনাম হয়ে থাকেন মাহাবুবার রহমানের বিভিন্ন অপকর্মের খবর। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রতারণার মামলা, সীমান্ত চোরাচালান, চুরি, চাঁদাবাজি, কৌশলে নিজ গ্রামের মোঃ সাজুলমিয়া, পিতা আঃহাই, তাকে জুয়ার বোর্ডে জমির বিনিময়ে টাকা ধার দিয়ে সেই টাকা সহজে লুটে নেওয়া, খুন, ধর্ষণ, মারডাং/রক্তজখম, ঘর বাড়ি ভাংচুরলুটপাট, মাদককারবারি, উলিপুরের বরেন্য শিক্ষক আছাব্বর আলী ওরফে খোকা মাস্টার তাঁর কবর দখল করে সেই কবরের উপর বসতঘর নির্মাণ, একাধিক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ীঘর ভাংচুর ও উচ্ছেদ, একাধিক জমি-জায়গা দখল, মুক্তিযুদ্ধ ও দেশদ্রোহী কর্মকান্ড, ঢাকা সাইবার আদালতের আইসিটি মামলা এবং জামাত-বিএনপির পক্ষে সরকার বিরোধী অনলাইন কার্যক্রম চালানোর অভিযোগ থাকা সত্বেও কর্তৃপক্ষ যথাযথ আইনী ব্যবস্থা না নেয়ায় জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *