নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতাঃ
একযুগ থেকে অধ্যক্ষ ছাড়াই চলছে উত্তর ধরলার একমাত্র ইসলামী বিদ্যাপীঠ নাগেশ্বরী কামিল মাদ্রাসা।
কোন ভাবেই ভারপ্রাপ্তের ভার থেকে যেন মুক্ত হতে পারছে না নাগেশ্বরী উপজেলার একমাত্র বিদ্যাপীঠ নাগেশ্বরী কালমল মাদ্রাসা। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দিয়ে চলায় অনেকটাই স্থবির প্রশাসনিক কার্যক্রম। মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এমপিওভুক্ত হয় ১৯৬০ খ্রিস্টাব্দে। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে নয় শতাধিক শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। প্রথম প্রতিষ্ঠাতা সুপার ছিলেন মাওলানা মমতাজ উদ্দিন। মাদরাসাটি কামিল হওয়ার পর তিনিই ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসাবে থাকার পর দুই বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন রিয়াজুল ইসলাম। এর পর অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন মাও ফজলূল হক নুরী তিনি অবসেরে যাবার পর জেষ্ঠ্যতার ভিত্তিতে দায়িত্ব বর্তায় উপাধক্ষে এর উপর কিন্ত তাকে না দিয়ে বিধি বহির্ভূত ভাবে মুহাঃ সামছুদ্দিনকে ‍নিয়োগ দেওয়া হয়, যার যোগদান ০১/০২/২০০০ এবং এমপিও ভূক্তির তারিখ ১২/০২/২০০৬ইং ভারপ্রপ্ত পদে যোগদান করেন ১৭ মে ২০০৯ ইং। কথা থাকে তিন মাসের ভিতর যোগ্য নিয়মিত একজন অধ্যক্ষ নিয়োগের। ক্ষমতা পেয়ে তিনি নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগের কথা ভুলে যান, ২০০9 খ্রিস্টাব্দ থেকে অদ্যবধি পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ বছর ধরে পদটি আকরে ধরে আছেন তিনি। আর এ ৯ বছরে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে বিভিন্ন দপ্তরে। তার বিরুদ্ধে কোটি টাকার দূনির্তীর খবর ও বিভিন্ন পেপার পত্রিকায় আসে।
অনুসন্ধানে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাঃ সামছুদ্দিন এর বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মচারীদের বিভিন্ন অভিযোগ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তদন্ত ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, মাদরাসা অধিদপ্তর,শিক্ষা বোর্ড বরাবর আবেদনের লিখিত এ তথ্য উঠে আসে।
লিখিত এসব তথ্য থেকে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মুহাঃ সামছুদ্দিন এর অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগ এনে ৪০ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে 34জনই তার বিরুদ্ধে । এছাড়া মাদরাসাটিতে নিয়মিত পরিচলনা পরিষদ কমিটি ছারাই চলে দীর্ঘৃদিন । শিক্ষকরা নিয়মিত কমিটির করার কথা বললে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে হয়রানী সহ বিভিন্ন অভিযোগ জানায়।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অদক্ষতা ও অনভিজ্ঞতার কারণে কমিটি গঠনে অহেতুক সময় ক্ষেপণ করে দিন কাটান।১২বছরে ৭ বার এডহক কমিটি করা হয়। তিনি অনেক দিন ধরে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশের জন্য এবং প্রতিষ্ঠানটিকে একটি কার্যকর প্রতিষ্ঠানে রুপান্তরকরণের লক্ষ্যে একজন নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগ প্রদান জরুরী।
নিয়মিত অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উত্তর ধরলার সর্বৃস্থরের জনতার ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *