মারুফ সরকার ,বিনোদন প্রতিনিধি :
বরেণ্য চলচ্চিত্র অভিনেতা এ টি এম শামসুজ্জামানের ইন্তেকালে নেট দুনিয়ায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বাংলা সিনেমার বর্ষীয়ান এই অভিনেতার মৃত্যুতে গভীর শোক ও তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন নেটিজেনরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অভিনেতার নানা অবদানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন ভক্তরা। তুলে ধরছেন তার অভিনিত সিনেমা দেখার নানা স্মৃতি।

শামসুজ্জামানের ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন প্রেসিডেন্ট মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া ফেসবুকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অভিনেতার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

এটিএম শামসুজ্জামান সূত্রাপুরের নিজ বাসভবনে শনিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন। শ্বাসকষ্ট নিয়ে ক’দিন ধরেই ভুগছিলেন তিনি। অভিনেতা হিসেবে এটিএম শামসুজ্জামানের অভিষেক ১৯৬৫ সালে। এরপর ১৯৭৬ সালে আমজাদ হোসেন পরিচালিত ‘নয়নমণি’ চলচ্চিত্রে খলনায়ক হিসেবে তিনি আলোচনা আসেন।
প্রিয় অভিনেতার মৃত্যুতে স্মৃতিচারণ করে সাইফুল হাসান রাসেল লিখেছেন, ‘‘সেই ২০০৬ সালের কথা যখন নানুর বাড়ী গিয়ে দেখতাম শুক্রবার সবাই বসে থাকতো টিভির সামনে বসে থাকতো বাংলা ছায়াছবি দেখার জন্য।

সেই ছবির মাঝে এই লোকটিকে আমাদের খুব হাসাতো হয়তো কেনো হাসাচ্ছে তা বুঝতাম না সবার হাসাহাসি দেখে আমি এক প্রকার হাসতাম। সেই সোনালী জীবনের এক টুকরো ছলক কিন্তু তার কাছ থেকেও পাওয়া।পরে তার অনেক নাটক দেখেছিলাম সেই কি অভিনয় মনমুগ্ধকর।আজ তার না ফেরার দেশে চলে যাওয়াতে খুবই খারাপ লাগছে।আসলেই তিনি একজন বরেণ্য অভিনেতা ছিলেন।’’

রাসিব মোস্তফা লিখেছেন, ‘‘পৃথিবীকে বিদায় জানালেন এটিএম শামসুজ্জামান। আগে একটা সময় ছিল যখন প্রতি শুক্রবার টিভিসেটের সামনে বসলে বাংলা চলচিত্রের পরিচিত মুখ শক্তিমান অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান এর উপস্থিতি পাওয়া যেত। হাস্যরসমাখা দারুণ সব সংলাপ উপভোগ করতো সবাই। কিন্তু সে দিনের অবসান ঘটলো, আজ চলে গেলেন তিনি। তার মৃত্যুতে রইলো একবুক শোক। ওপারে ভালো থাকুন প্রিয় কিংবদন্তি।’’

মনির অভিনেতার মাগফেরাত কামনা করে লিখেছেন, ‘‘জীবিত থাকতে ওনি কর্মজীবনে যেটুকু ভালো এবং খারাপ কাজ করছেন তার প্রতিদান আল্লাহ থেকে বরাদ্দ! হয়তো কোন ভালো কোন কাজের বিনিময়ে আল্লাহ তার বান্দার সব বদ আমল মাফ করে দিতে পারেন। সুতারাং আমাদের উচিত একজন মুসলিম হিসাবে মরহুমের আত্নার মাগফেরাত কামনা করা। আল্লাহ যেন ওনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। আমিন।’’

রায়না মনি লিখেছেন, ‘‘খুব বড়ো মাপের একজন অভিনেতা ছিলেন। তার কমেডি ড্রামা গুলোতো অসাধারণ। এত সুন্দর অভিনয় করতো সে। একেবারে জীবন্ত অভিনয়। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।’’

মোঃ হারুনের মন্তব্য, ‘‘ভালো একজন অভিনেতা ছিলেন। ছোট-বড় সবাই তাকে পছন্দ করে। আল্লাহ তার ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমা করে জান্নাত নসিব করুন,আমিন।’’

ফাতেমা ভুইয়া লিখেছেন, ‘‘খুব ভালো একজন মানুষ ছিলেন, দোয়া করি,আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুক।তার অনেক নাটক আমি দেখেছি।খুব কষ্ট লাগতেছে।বিদায় হে কিংবদন্তি।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *