ফারহানা আক্তার,জয়পুরাট প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে স্ত্রীকে বর্বরোচিত নির্যাতন করে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরে আগুন দিয়ে ঝলসে দিয়েছিলেন স্বামী। ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে চিকিৎসাধীন আবস্থায় ৬ আগস্ট শুক্রবার বেলা ১২টায় মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন ক্ষেতলাল থানা তদন্ত ওসি শাহ আলম।
জানা গেছে, জয়পুরহাটের বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুস সবুর সরদার তার মেয়ে মঞ্জিলা খাতুন (২৮) কে পাঁচ বছর পূর্বে ক্ষেতলাল উপজেলার রোয়াইর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে শারফুল ইসলাম রনি (৩২) এর সাথে বিয়ে দেন।
২৬ জুলাই (সোমবার) দুপুর ১টায় তুচ্ছ এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে গৃহবধু মঞ্জিলা খাতুনকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরের দরজা বন্ধ করে শারীরিক নির্যাতন করে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় তার স্বামী। ওই দিন ঘটনাস্থল থেকে রনির বড়ভাই আরিফুল ইসলাম ও একই গ্রামের মীর বক্স এর ছেলে খয়বর আলী জানতে পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে মঞ্জিলা খাতুনকে উদ্ধার করে। ততক্ষণে তার কোমর থেকে মুখ পর্যন্ত ও দুই হাত পুড়ে ঝলসে যায়। প্রতিবেশীরা দ্রুত তাকে শহীদ জিয়া মেডিকেল হাসপাতাল বগুড়া নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি ঘটলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনিস্টিউটে তাকে স্থানান্তর করেন। সেখানে ৬ আগস্ট শুক্রবার বেলা ১২টায় মৃত্যু হয়েছে।
এবিষয়ে মঞ্জিলার বাবা বাদী হয়ে স্বামী শারফুল ইসলাম রনি বিরুদ্ধে ক্ষেতলাল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
ক্ষেতলাল থানার ওসি নীরেন্দ্রনাথ মন্ডল। তিনি বলেন- মেয়ের বাবা থানায় মামলা দায়ের করেছে। আমরা ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে আসামিকে আটক করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ২দিনের রিমান্ড শেষে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।