মোঃ রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ নুনখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে প্রতিদিন বখাটেদের আখড়া বসছে। এ ঘটনায় নুনখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুল ইসলাম বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্টকারী বখাটেদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

গত ৩ এপ্রিল নুনখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্বল শিক্ষার্থীদের শ্রেণি কক্ষে পাঠদান চলাকালে বিদ্যালয় চত্বরে বখাটেদের আখড়া বসে এবং বখাটেরা তাদের ব্যবহৃত এন্ড্রোয়েট মোবাইল ফোনে অশ্লীল ভিডিও দেখা সহ নানারকম অশ্লিল কথা-বার্তা বলতে থাকে। তাদের অশ্লিল কথা-বার্তা শ্রেণি কক্ষ পর্যন্ত শুনতে পাওয়ায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক একেএম ফজলুল হক বিদ্যালয় চত্বরে থাকা বখাটে ছেলেদের ডেকে এনে বিদ্যালয় চত্বর ত্যাগ করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু বখাটে কিশোর গ্যাং এর ছেলেরা সহকারী শিক্ষকের নির্দেশ অমান্য করে উল্টো উক্ত শিক্ষক একেএম ফজলুল হককে শাসায় এবং গালি-গালাজ করে। এঘটনায় তাৎক্ষণিক নুনখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুল ইসলাম বিদ্যালয় চত্বরে এসে তাৎক্ষণিক ভাবে বখাটেদের আটক করে ৩ জনের কাছ থেকে তাদের ব্যবহৃত ৩টি মোবাইল ফোন নেয়। পরবর্তীতে উক্ত বখাটে ছেলেদের তাদের অভিভাবক এসে কথা বলে যেন মোবাইল ফোনগুলো ফেরৎ নেয় বলে তাদের জানায়। কিন্তু উক্ত বখাটেদের ফোন আটক এবং তাদের শাসন করায় স্থানীয় ঐ সকল ছেলেদের অভিভাবক যথাক্রমে- হোসেন আলী, আমিনুল ইসলাম, আলী হোসেন, কামাল হোসেন বিদ্যালয় চত্বরে এসে কোন প্রকার আলোচনা না করেই শিক্ষকদের রুমে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় শিক্ষার্থীদের সামনে শিক্ষকদের গালি-গালাজ করে। সহকারী শিক্ষক নুরুজ্জামানকে উক্ত বখাটে কিশোর গ্যাং এর ছেলেরা নানা ভাবে অসম্মান করেন। এ ঘটনায় নুনখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন পার্শ্ব এলাকায় সচেতন মানুষের মাঝে ব্যাপক তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।

এ ব্যাপারে নুনখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুল ইসলাম জানায়, বখাটে কিশোর গ্যাং এর অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। বিষয়টি নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং বখাটেদের কাছ থেকে আটক ৩টি মোবাইল উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে যথাযথ প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *