ভূরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দুধকুমর নদের ভাঙ্গনের কবল থেকে স্কুল রক্ষা করতে স্বেচ্ছাশ্রমে বালুর বস্তা ফেলে বাঁধ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
অতি বর্ষণে দুধকুমর নদের শাখায় ভাঙন শুরু হয়। এতে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের ২নং পাইকেরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দুধকুমর নদের গর্ভে বিলীনের পথে। স্কুলটি বর্তমানে ভাঙ্গনের তীর থেকে মাত্র কয়েক ফুট দুরে অবস্থান করছে । যে কোন সময় নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে স্কুলটি।
 যানা গেছে, সোমবার (১৯ জুলাই) সকালে থেকে ভাঙ্গন রোধে স্কুলটি বাঁচাতে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বাঁশ পুঁতে ৫০০ বালু ভর্তি বস্তা ফেলেছে এলাকাবাসী ।
 স্কুলের এসএমসির সদস্য আবুল হোসেন ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি গাজিউর রহমান বলেণ, ‘এই স্কুলে আমাদের ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে। নদী যেভাবে ভাঙছে তাতে স্কুলটি শিঘ্রই নদীতে বিলীন হবে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিক বার জানালেও তারা কোন পদক্ষেপ নেয়নি। তাই আমরা ২০/২৫ জন গত পরশু থেকে  আজ ( ২০ জুলাই) পর্যন্ত প্রায় ৫০০ বস্তায় বালু ভরিয়ে  স্কুলের সামনে যেখানে নদী ভাঙছে সেখানে ৪০/৫০টি বাঁশ পুঁতে দিয়ে বালু ভর্তি বস্তাগুলো ফেলা হচ্ছে যাতে ভাঙ্গন বোধ করা যায়।’
 সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ বলেন, ‘ভাঙন কবলিত স্থানের ১০ হাত দুরে স্কুল ভবন। ভাঙ্গন রোধ করতে স্কুলের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের সামান্য বরাদ্দ থেকে ১ হাজার স্টিকের বস্তা কেনা হয়েছে। স্থানীয় এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে সেগুলোতে বালু ভরে বাঁধ তৈরির মাধ্যমে ভাঙন রোধের চেষ্টা করছেন।’
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহীদুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গন ঠেকাতে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করায় এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনকে স্কুলটির বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডকে আমি ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপক কুমার দেব শর্মা বলেন, ২নং পাইকেরছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পত্র প্রেরণ করেছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলামের সাথে একাধিক বার তার মুঠো ফোনে চেষ্টা করলেও তিনি  ফোন রিসিভ না করায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 
 
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *