কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ঃ
কুড়িগ্রাম চিলমারীতে এস,এস,সি ভোকেশনাল নবম শ্রেণি সমাপনী বোর্ড পরীক্ষায় ব্যবহারিক পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীরা জানায়, ফেল করার ভয় দেখিয়ে, বেশি নম্বর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কথা বলে শিক্ষকেরা টাকা আদায় করছেন।
থানাহাট এ,এউ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় (কোড-১৭০২৪) কেন্দ্রের অধীন ছয়টি প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ভোকেশনালের নবম শ্রেণির নিয়মিত ও অনিয়মিত মিলে মোট ২৯৪ জন শিক্ষার্থী নবম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষা দিচ্ছে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হলে ভোকেশেনালের ব্যবহারিক আট বিষয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
বৃহস্পতিবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য তাদের কাছ থেকে ৫০০-৯০০ করে টাকা নেওয়া হয়েছে। থানাহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, থানাহাট এএউ পাইলট মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, বালাবাড়ী সিনিয়ার ফাজিল মাদরাসাসহ সকল ভোকেশনালের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, লিখিত পরীক্ষায় সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে বলে আমাদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার অযুহাত দিয়ে টাকা নিয়েছেন। ভালো নম্বর দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন। টাকা না দিলে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করার হুমকীও দেয়া হয়। কিছু বলতে গেলে আমাদের আর ভোকেশনাল পড়া হবে না তাই শিক্ষকের কথামত টাকা দিতে আমরা সকলেই বাধ্য হই। থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর দিলরুবা বলেন, আমি ফুড প্রসেসিং ট্রেড বিষয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) ছাত্রীদের ট্রেড বিষয়ের ব্যবহারিক পরীক্ষা নেয়া হলো আমি কোন টাকা আদায় করিনি । অন্য বিষয়ে কোন শিক্ষক টাকা আদায় করেছে কি না তা বলতে পারবো না।
ব্যবহারিক পরীক্ষায় টাকা আদায়ের বিষয়ে থানাহাট এএউ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের (কেন্দ্রের) ভোকেশনারের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর রহমত আলী শিক্ষার্থীর কাছে থেকে ৫০০-৭০০ করে আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়,এ বিষয়ে তার সাথে কথা বললে তিনি জানান অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক টাকা নিয়ে থাকলে সেটা তাদের ইন্টারনাল ব্যাপার। কেন্দ্র থেকে টাকা আদায়ের ব্যাপারে কথা বললে তিনি এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শাহিনুর ইসলাম ছাত্রীদের দ্বারা ৬০০-৯০০ টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। থানাহাট এএউ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব ও প্রধান শিক্ষক শেফাউন নাহার বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষায় অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার ব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভোকঃ) মোঃ নুর-ই-এলাহী বলেন, ‘ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ড ফি নেওয়া হয়ে থাকে। তা দিয়েই খরচ চলানোর কথা। অতিরিক্ত টাকা আদায়ে প্রমান পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *