চিলমারী( কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
গতকাল বৃহস্পতিবার ( ২৮ এপ্রিল’২০২২ ইং) কুড়িগ্রামের চিলমরী উপজেলা শাখা’র সদস্য প্রতিভাবান ও সম্ভাবনাময়ী কষ্ঠ শিল্পী আশরাফুন্নাহার মিম -এর সড়াক র্দূঘটনায় অকাল প্রয়াণে এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান।
বিকেলে চিলমারী ডাকবাংলা সভা কক্ষে সমকাল সুহৃদ সমাবেশ চিলমারীর’র উদ্যেগে আয়োজিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন সুহৃদ সমাবেশ চিলমারী’র আহব্বায়ক সহকারী অধ্যাপক মোঃ মামুনুর -অর- রশিদ। এ সময় অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মিমের সর্বশেষ অধ্যায়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সুহৃদ সমাবেশ চিলমারী শাখার যুগ্ম আহব্বায়ক মোঃ তৈয়বুর রহমান, সুহৃদ সমাবেশ চিলমারী শাখার যুগ্ম আহব্বায়ক প্রভাষক সরদার মঞ্জুরুল ইসলাম, চিলমারী শিল্পী সমিতির সভাপতি মোঃ জাহিদ আনোয়ার পলাশ এবং সমকাল চিলমারী উপজেলা প্রতিনিধি সহকারী অধ্যাপক ও লেখক নাজমুল হুদা পারভেজ। এ সময় প্রয়াত মিমের পিতা মোঃ আমিনুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
স্মরণ সভায় প্রধান অতিথি নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মাহবুবুর রহমান মিম কে স্মরণ করতে গিয়ে বলেন, যদিও মৃত্যুর উপরে কারও কিছু বলার থাকে না, করণ হায়াত এবং মৃত্যু সৃষ্টিকর্তার হাতে। তারপরও যে কথাটি বলতে হয়, উপজেলা পরিষদ কৃর্তক আয়োজিত প্রায় সমক অনুষ্ঠানে আশরাফুন্নাহার মিমকে গান গেতে দেখেছি ও শুনেছি। সে অত্যন্ত সম্ভাবনাময়ী একজন কণ্ঠ শিল্পী ছিল। সে খুব ভদ্র এবং বিনয়ী ছিল। তার এই অকাল প্রয়াণে চিলমারীর সাংস্কৃতিক অঙ্গন একটি উজ্জল নক্ষত্রকে হারালো। একজন মিম একদিনে তৈরী হয় না। একজন মিম হতে গেলে অনেক সাধনা ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে তৈরী হয়। মিম সে পথেই এগিয়ে যাচ্ছিল কিন্ত হঠাৎ তার এ ধরনের মৃত্যু আমাদেরকে প্রচন্ড রকমের ধআক্কা দিয়েছে, অত্যন্ত ব্যথিত করেছে। তিনি মিমের মা-বাবাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারকে ধর্য ধারণ করার অনুরোধ জানান এবং সমবেদনা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গত ১০ এপ্রিল , রবিবার বেলা আনুমানিক তিনটার সময় কুড়িগ্রাম সদরের খলিলগঞ্জ হাঁসের খামারের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। কুড়িগ্রাম সাম্প্রতিক এর গিটারিষ্ট বিপুল (৩০) এর মটর সাইকেলের পিছনে বসে সে কুড়িগ্রাম নতুন ষ্টেশনের দিকে যাচ্ছিল।এ সময় তেল পরিবহণকারী একটি ট্যাংক লরি দ্রæত গতিতে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দিলে দুজনই রাস্তার মাঝে মটর সাইকেল উল্টে পড়ে যায়। এ সময় ট্যাংক লরির একটি চাকা মিমের মাথার উপর দিয়ে চলে গেলে সংগে সংগে চাকায় মাথা পিষ্ট হয়ে তার মৃত্যু ঘটে। মারতœক ভাবে আহত মটর সাইকেল চালক বিপুল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘাতক ট্ট্যাংকলরি টি আটক করা হয়েছে।যার নাম্বার ঢাকা মেট্রো -ড ১৪-১০০৫
মিম ছোট থেকেই গান পাগল ছিল। নিবেদিতা সাংস্কৃতিক সংগঠনে তার গানে হাতে খড়ি। বড় হয়ে সে চিলমারী শিল্পকলা একাডেমীর একজন নিয়মিত সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে একাধিক অনুষ্ঠান করে উদীয়মান সম্ভাবনাময়ী কণ্ঠশিল্পী হিসেবে গোটা কুড়িগ্রাম জেলায় সংগীত অঙ্গনে অল্প বয়সেই পরিচিত হয়ে উঠেছিল। আধুনিক গান , লালন সংগীত ও দেহতত্বমূলক গান সহ সবধরনের গানে মিম পারদর্শী ছিল। সে বর্তমানে মায়ের চাকুরীর কারনে কুড়িগ্রাম সদরে থাকতো এবং সাম্প্রতিক শিল্পী গোষ্ঠিতে গান করতো। মিমের এ বছর চিলমারীর থানাহাট পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দেবার কথা ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *