তৈয়বুর রহমান, কুড়িগ্রাম :
কুড়িগ্রামের উলিপুরে একদিন থেকে এক বছর বয়সী ৫০ জন নবজাতকের মাঝে একটি করে ফলদ গাছ বিতরণ করা হয়েছে। আজ (২৩ মে) মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় উলিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা নিতে আসা ৫০ জন নবজাতককে পরিবেশবাদী সংগঠন অরন্যের উদ্যোগে ও গ্যাটসবি অয়ারের সহোযোগিতায় ১ টি করে ফলদ বারি 4 জাতের আম গাছের চারা প্রদান করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে ব্যতিক্রমী এ চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে নবজাতকদের পক্ষে তাদের মা-ও বাবারা এসব চারা গ্রহণ করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে পরিবেশবাদী সংগঠন অরণ্যের সহ সাধারন সম্পাদক তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় নবজাতকদের মাঝে চারা বিতরণের গুরুত্ব তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবিদ বিন হুসাইন ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সাংবাদিক তৈয়বুর রহমান, উলিপুর এম এস স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম সরদার, গ্রীন ভয়েস এর উপদেষ্টা রফিকুল ইসলাম আনছারী, এশিয়ান টেলিভিশন ও জয়যাত্রা টেলিভিশনের প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান শাহিন, দৈনিক ভোরের পাতা পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল মালেক, উৎসর্গ নার্সিং ইনস্টিটিউট এর চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম , অরণ্যের উপদেষ্টা নুর আমিন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন অরন্যের কোষাধ্যক্ষ জামিউল ইসলাম।
বক্তারা বলেন, গাছ আমাদের প্রকৃত বন্ধু। গাছের মাধ্যমেই আমরা প্রাকৃতিক ভাবে নির্মল অক্সিজেন পাচ্ছি। গাছ যতদিন বেচে থাকে নিঃস্বার্থভাবে পৃথিবীতে অক্সিজেন সরবরাহ করে । পরিবেশবাদী সংগঠন অরণ্য মনে করে আজকে যে শিশুটি জন্মগ্রহণ করলো তার প্রতি আমাদের দায়িত্ব হলো সে যেন সুস্থ ও সুন্দরভাবে পৃথিবীতে বেড়ে উঠতে পারে, সেরকম একটি পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া। আমরা আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের জন্য সম্পদের পাহাড় বানাতে এত ব্যস্ত হয়ে পড়ি যে ভুলেই যাই একটি বিষাক্ত পরিবেশ তাকে কখনও সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে দিবে না। অবাধে বৃক্ষনিধন সহ পরিবেশের অন্যান্য উপাদানগুলি এমনভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে যে, এভাবে চলতে থাকলে আজকে যে সন্তান জন্মগ্রহণ করলো সে নিজে সন্তান উৎপাদনে ব্যর্থ হবে অথবা সে প্রতিবন্ধী সন্তানের জন্ম দেবে। এগুলো বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, যে কেউ আমরা এর শিকার হতে পারে।তাই ভবিষ্যত প্রজন্মকে একটি সুস্থ জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে বৃক্ষ রোপন এবং তার রক্ষণাবেক্ষণের কোন বিকল্প নেই।##