,ফারহানা আক্তার, জয়পুরহাট প্রতিনিধি:

জয়পুরহাটে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতাসহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের মান-সম্মান, চরিত্র হনন এবং কুরুচিপূর্ন বক্তব্য বিভ্রান্তমূলক, বানোয়াট ও মিথ্যা কলঙ্ক কাহিনী তৈরী করে সোস্যাল নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা খাজা আল আমীন সোহাগকে (৪২) গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজুতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়পুরহাট চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পৌর আ’লীগের সভাপতি ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র ইকবাল হোসেন সাবু বাদী হয়ে একটি মামলাটি করেন।
গ্রেফতারকৃত খাজা আল আমীন সোহাগ (৪২) জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ খাজা সামছুল আলমের ছেলে ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-সমাজসেবক বিষয়ক সম্পাদক বলে জানা গেছে। সে শহরের জানিয়ার বাগান (আনোয়ার ক্লিনিক) এলাকায় বসবাস করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি খাজা আল-আমীন সোহাগ তার নিজ ফেসবুক আইডি ও বিভিন্ন নাম থেকে জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আরিফুর রহমান রকেট, জেলা আ’লীগের শীর্ষ স্থানীয় নেতা জিপি, পিপি সহ বিভিন্ন ব্যক্তিদের মান-সম্মান, চরিত্র হনন এবং কুরুচিপূর্ন বক্তব্য বিভ্রান্তমূলক, বানোয়াট ও মিথ্যা কলঙ্ক কাহিনী তৈরী করে সোস্যাল নেটওয়ার্কে ছড়িয়ে দিয়ে থাকেন। এছাড়াও তিনি জয়পুরহাট পৌর আ’লীগের সম্মেলনে অর্থের বিনিময়ে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের পদ বিক্রি করা হয়েছে মর্মে গত ১ ফেব্রুয়ারি ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট করেন। এভাবে অপপ্রচার ও মানহানীকর ফেসবুকে পোস্ট করায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম আলমগীর জাহান জানান, জয়পুরহাট অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতের বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুন, মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে এজাহার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করতে জয়পুরহাট থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিদের্শ করে। তদন্ত সাপেক্ষে সদর থানা ও ডিবি পুলিশের যৌথ অভিযানে শুক্রবার শহরের পুরাতন বাজার এলাকা থেকে আসামী খাজা আল আমীন সোহাগকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে ওই স্থান থেকেই আদালতের মাধ্যমে জেল হাজুতে পাঠানো হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *