ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

কোরবারনি ঈদ কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়। কিন্তু নলছিটি উপজেলার পশু হাটগুলো জমে ওঠেনি। উপজেলার সবচেয়ে বড় হাটটি বসে আখরপাড়ায়। এখানে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই গরু, ছাগল পাওয়া গেলেও এখনও জমে ওঠেনি বিকিকিনি।

শুক্রবার এ পশুহাট ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা আশা করছেন জুমার নামাজের পর থেকে বিক্রি জমে উঠবে। তবে পুরোদমে হাট লাগবে শনিবার।

স্থানীয় বিক্রেতা আবুল হোসেন (আবু) যশোরের বেনাপোল এলাকা থেকে ০৫টি গরু নিয়ে বাজারে এসেছেন। তিনি বলেন, বেচা-বিক্রি শুরুই হয়নি। খৈদ্দের (ক্রেতা) দুই একজন আসলেও দাম কইয়া চৈল্যা যায়। এখনও বিক্রি হচ্ছে না। আইজ জুমার পরে বিক্রি হবে।

স্থানীয় আরেক বিক্রেতা আমির মল্লিক সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে পাঁচটি গরু নিয়ে এ হাটে বসে আছেন। তিনি বলেন, কাল আনচি, একটাও বিক্রি করতে পারিনি। ‌

গরুর দাম জানতে চাইলে বলেন, বড় গরু (প্রায় ৩ মণ মাংস হবে) দাম হাকানো হচ্ছে ১.৫০ লাখ টাকা। তবে দামাদামি করেই বিক্রি হবে।

এদিকে উপজেলার কুলকাঠি, নাচনমহল, তালতলা ও মানপাশা গরুহাট ঘুরে দেখা যায় মূল হাটগুলোর জায়গার অনেকাংশই এখনও ফাঁকা।

তবে এখনও বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাকভর্তি গরু আসা অব্যাহত রয়েছে। বিক্রেতাদের আশা শুক্রবার বিকেলে কিছুটা হলেও বিক্রি শুরু হবে। বিক্রেতারা জানান, সরকারি চাকরিজীবীদের ছুটি আজ শুরু হবে। তাই বিকেলে কিছু বিক্রি হতে পারে। দু’চার জন ক্রেতা এলেও চড়া দামের কারণে কিনতে অনাগ্রহ দেখা যায়। যেই আসছেন শুধু গরু দেখে দাম শুনেই চলে যাচ্ছেন।

কুলকাঠি হাটে কোরবানির গরু কেনার জন্য নলছিটি থেকে এসেছেন মোস্তাইন বিল্লাহ। তিনি জানান, এবার গরুর দাম অনেক বেশি। বেপারীরা দাম ছাড়ছেন না। দেখি দামে পুষলে নিবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *