বিশেষ প্রতিবেদকঃ
উত্তর ধরলার বন্যার্তদের পাশে সার্বক্ষনিকভাবে রয়েছেন কুড়িগ্রাম-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য এ,কে,এম মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক এমপি। ১৩ আগষ্ট থেকে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রামে গ্রামে বন্যার্তদের মাঝে শুকনা খাবার ও ত্রান অব্যাহত রেখেছেন। সারাদিন নৌকা,অটো,ট্রাক্টর পায়ে হেটে হেটে দুর্গত মানুষের পাশে রয়েছেন। তার অব্যাহত চেষ্টায় ভুরুঙ্গামারী নাগেশ্বরী উপজেলার বিভিন্ন বন্যার্ত এলাকায় শুকনা খাবার ,চিড়া,মুড়ি,মোমবাতি,দিয়াশলাই,জরুরী ঔষধপত্র সহ বিভিন্ন ত্রান তিনি নিজ হাতে বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করেছেন। বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রান বিতরণের সময় তার সঙ্গে ছিলেন নাগেশ্বরী উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও পৌর মেয়র আব্দুর রহমান মিঞা ও ভুরুঙ্গামারী উপজেলা জাতীয় পার্টির সেক্রেটারী ওয়াহেদুজ্জামান সরকার সহ জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দ। প্রতিদিন তিনি বন্যার্তদের ত্রান বিতরন অব্যাহত রেখেছেন। বন্যার্তদের উদ্দেশ্যে তিনি জানান যেকোন মুল্যে বন্যা মোকাবেলা করা হবে। বন্যা দুর্গতদের বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে সকল প্রকার সহযোগীতা করা হবে,এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় বন্যার্ত এলাকাবাসীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করে এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে জানান। ত্রান সামগ্রী বিতরনের পাশাপাশি তার সার্বিক সহযোগিতায় ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ডিগ্রী কলেজ,শাহীবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,কাশিমবাজার উচ্চ বিদ্যালয়,পুর্ব কেদার রেজিঃ প্রাঃ বিদ্যালয়,বলদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়,বলদিয়া কলেজের পাশে ২ টি দ্বিতল ভবন,সোনাহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে,সোনাহাট কিন্ডার গার্টেন,সোনাহাট ইউনিয়ন পরিষদ ভবন,সোনাহাট কলেজ মোড়,সোনাহাটা ব্রীজ পাড়,শিলখুড়ি সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়,ধলযাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়,ভুরুঙ্গামারী সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়,ভুরুঙ্গামারী মডেল সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়,কিশলয় বিদ্যা নিকেতন এবং নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ৫ টি ওয়ার্ড ,ভিতরন্দ জেডি একাডেমী,নুনখাওয়া বাজার,নাগেশ্বরী মহিলা কলেজ, নাগেশ্বরী সরকারী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,চর টেপারকুটি দাখিল মাদ্রাসায় আশ্রয় নেয়া বন্যার্তদের মাঝে খিচুরী প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। শুধু তাই নয় নির্বাচনী এলাকার আরও বিভিন্ন এলাকায় ১০ টি আশ্রয়ন কেন্দ্রে বন্যার্তদের খিচুড়ী প্রদান অব্যাহত রেখেছেন। তিনি বন্যার্তদের পাশে দাড়াতে দলমত নির্বিশেষে সকলের প্রতি আহবান জানান।
বন্যা নিয়ন্ত্রন কক্ষের তথ্যমতে চলতিবছর বন্যায় কুড়িগ্রাম জেলার ৯ টি উপজেলার ৫৯টি ইউনিয়নের ৭৬৩টি গ্রাম হিমালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও বর্ষনে বন্যায় প্লাবিত হয়ে ৭০ হাজার ৮৬১ পরিবারের ৪ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বিভিন্ন নদ নদীর তীব্র স্্েরাতে ঘরবাড়ি হারিয়েছে ২ হাজার ১শ ২৩ পরিবার। ৩৮৫ টি আশ্রয় কেন্দ্র থাকলেও ২৪২টি বন্যা আশ্রয় কেন্দ্রে ১৯ হাজার ২২৫ টি পরিবার আশ্রয় নিতে পারলেও বাকীরা বিভিন্ন উচু সড়ক সহ বিভিন্নস্থানে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। অনতি বিলম্বে বন্যার্তদের ত্রান ও পুনর্বাসনে সরকারকে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানান বন্যার্তরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *