কলমে- রাধা রানী বিশ্বাস
ভালোবাসার মানে খুঁজতে গিয়ে
শব্দ চষে কপালের ঘাম চুইয়ে পড়ছে,
ভালোবাসার মানেটা কি ?
এটা কি ভালোলাগার উচ্ছ্বাসিত শিহরণ ?
নাকি অনুরাগের অনুরণন! নাকি বলতে না পারার অক্ষমতা! নাহ্ তা কি করে হয় !
এটা নিশ্চয়ই না পাওয়ার ব্যর্থতার অস্পর্শ আবেগ ।
তা না হলে সেই.. কবে খাতার পাতায় লুকিয়ে
দুটো শব্দ লিখে দেয় “ভালোবাসি”
সেটা কেউ কেউ সারাজীবন মনে রাখে।
তাহলে কি ভালোবাসার নাম মনে রাখা?
যদি তাই হয়, তবে হাত ধরে নীল নীলিমার
দিগন্তের সীমানায় রঙধনুর ছুঁয়ে যাওয়ার দিকে
তাকিয়ে থাকা,
বৃষ্টির ঝমঝম শব্দ উপেক্ষা করে রবীন্দ্র সংগীত শোনা,
ফুলের রেণু নিঃশব্দে নির্লজ্জের মতো গায়ে পড়ার
শিহরণ উপলব্ধি করে খিলখিলিয়ে হেসে উঠা।
মনে রাখে না তো !
শেষ বিকেলে সোনালী রোদের স্পর্শে দু জোড়া চোখ
একসাথে বন্ধ হয়ে যাওয়া !
মনে রাখে না কেন?
তাহলে কি ভালোবাসা অনুভূতির খুনসুটি?
মন খারাপ হলে কেউ কারো ছায়া না দেখা?
মন ভালো হলে না বলা কথা বলার জন্য আঁকুপাঁকু করা?
নাহ্ তা বোধ হয় না।
তাহলে তো ডায়রির পাতা ভরত না !
তাহলে বসন্তের কোকিলের মতো অবিরাম ডাকত।
ভালোবাসা হলো নির্ঘাত সারা না দিলেও হাতছানি দেওয়া।
তাও তো মনে হচ্ছে না….।
জোর করে মনের কষ্ট কুড়িয়ে এনে সহানুভূতির পরশ
দেওয়া।
ধুত্তরি কলমের কালি শেষ হওয়ার সময় পেল না।।