ভুরুঙ্গামারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
ভুরুঙ্গামারীতে বসতভিটা থেকে বাঁশগাছ কর্তন ও সুপারী ছিড়ে নিয়ে যাওয়ায় থানায় অভিযোগ দায়েন করেছে ভুক্তভোগী পরিবার। অভিযোগে জানাগেছে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা কুটিপাড়া গ্রামের মৃত গেন্দা সেখের পুত্র আসাদুল হক(৩২),শাহজাহান আলী(৩০),মৃত হাছেন আলীর পুত্র মোঃ আব্দুর রশিদ (৪৫), মৃত নুরু মুন্সীর পুত্র আনছার আলী(৫৫), পাটেশ্ববরী বাজার হেলিপ্যাড এলাকার মফিজুল মিস্ত্রী(৫০)এর সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এদিকে আসাদুল হক তার সহযোগীরা আসাদুল ও তার স্ত্রী কহিনুর বেগম (২৫)এর নামে গোপনে জমির খাজনা খারিজ ছাড়াই হাফিজুর রহমানের বড় ভাই আমির হোসেনের জমি কৌশলে বসত বাড়ির ভিটাসহ ৬ দাগে ১০ শতক জমি কবলা নেয়। জমি কবলা নেয়ার পর হাফিজুর রহমানের বসত ভিটায় লাগানো বাঁশঝাড় ও সুপারীগাছ হাফিজুর রহমানের মৃত পিতা ইউনুছ আলীর কবরের জমি দাবী করে গত ২৮ আগষ্ট বিকালে আসাদুল ও তার সহযোগীরা হাতে লাঠি,দা,কুড়াল নিয়ে ১০/১৫ টি বাঁশ গাছ কেটে নিয়ে যায়। বাঁশঝাড়ের মালিক হাফিজুর রহমান বাদী হয়ে ওই দিনই বাদী হয়ে আসাদুল হকসহ ৬জনের নামে ভুরুঙ্গামারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিষয়টি নিয়ে কয়েকদফা শালিস বৈঠক হলে গোপনে নেয়া ঐ জমি হাফিজুর রহমানের নিকট থেকে টাকা নিয়ে ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্তও হয়। কিন্তু জমি ফেরত না দিয়েই আবারও গত ২৪ মার্চ আবারও আসাদুল হকগং হাফিজুর রহমানের বসতবাড়ির জমিতে অনধিকার প্রবেশ করে ৪০ টি বাঁশ কর্তন এবং ৫ টি সুপারীগাছ থেকে সুপারী ছিড়ে নিয়ে যায়। হাফিজুর বাঁধা দিতে গেলে তারা ভয়ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি প্রদর্শন করায় স্থানীয়দের জানানোর পরে কোন মিমাংসা না হওয়ায় ২৯ মার্চ ভুরুঙ্গামারী থানায় আসাদুল হকসহ ৫ জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করে। আসাদুল হক ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে আদালতে ২০২৩ সালের ভুমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনের ৫(ক)৫(খ)তৎসহ ১৬ ধারায় মামলা চলমান আছে । মামলা নং ৩৬/২০২৪(ভুরু)।

ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রুহুল আমিন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান,ঘটনাস্থল তদন্ত করা হয়েছে। তদন্তপুর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *