কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি ঃ

কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে অধ্যক্ষ কাজী মাওঃ শমসের আলী সবমহলে প্রশংসিত হচ্ছেন।

চিলমারী উপজেলায় রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে ১৯৬৪ সালে ফকিরের হাট মফিজিয়া আলিম মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। মাদ্রাসাটিতে কাজী মাওঃ শমসের আলী অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর ব্যাপক পরিবর্তন আসে। ইসলামি শিক্ষা বিস্তারে মাদ্রাসাটি অন্যন্য ভূমিকা রাখছে। রাণীগঞ্জ ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র দুঃস্থ অসহায় ও ইতিম শিক্ষার্থীরা এই মাদ্রাসায় অধ্যক্ষ কাজী মাওঃ শমসের আলীর আন্তরিকতার কারণে বিনা বেতনে পড়া-লেখার সুযোগ পাচ্ছে। যে কারণে আস্তে আস্তে শিক্ষার বিস্তার ঘটছে। কাজী মাওঃ শমসের আলী অধ্যক্ষ হওয়ার কারণে মাদ্রাসাটিতে ২০১২ইং সালে একটি বিল্ডিং ঘর এবং ২০২১ইং সালে ৬০ফুট দৈর্ঘ্যের অপর একটি বিল্ডিং ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে মাদ্রাসাটিতে অবকাঠামো উন্নয়ন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পড়া-লেখা ব্যপক সুযোগ-সুবিধার সৃষ্টি হয়েছে। চলতি বছর একটি বহুতল ভবন নির্মাণের জন্য অধ্যক্ষ কাজী মাওঃ শমসের আলী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপুমণি’র সার্বিক সহযোগিতা এবং ২৮ কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জননেতা জাকির হোসেন মহোদয়ের একান্ত সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

ফকিরের হাট মফিজিয়া আলিম মাদ্রাসায় বর্তমানে শিক্ষার্থী সংখ্যা- ৬০০ জন। সরকারি সার্কুলার মোতাবেক মাদ্রাসাটিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হওয়ার পাশাপাশি জে.ডি.সি, দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় প্রতি বছর শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে ভালো ফলাফল বয়ে আনছে। সেই সাথে অধ্যক্ষ মাওঃ শমসের আলী বর্তমানে ১নং রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে সরকারি ভাবে ম্যারেজ রেজিষ্ট্রার হিসেবে নিযুক্ত হওয়ায় ইউনিয়নে বাল্য বিবাহ রোধে ব্যপক ভূমিকা রাখছেন।

এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ কাজী মাওঃ শমসের আলী জানায়, রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম অত্যন্ত আন্তরিক। তিনি বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে এবং স্থানীয় অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরাও বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে। তাই রাণীগঞ্জ ইউনিয়নে কোন ধরনের বাল্যবিবাহ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কোথাও এধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে তা সকলের অগোচরে হয়। যার কোন আইনি ভিত্তি নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *