চট্টগ্রাম অফিস:
চট্টগ্রামের ইপিজেড থানাধীন বন্দরটিলাস্থ কসাই গলি এলাকার ছাবের ম্যানসন নিবাসী মামলাবাজ দম্পতি আসমা বেগম (৩০) ও কামাল আকন্দ (৪৫) এর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। মামলা করাই তাদের একমাত্র কাজ। মামলা করে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়াই এই দম্পতির পেশা ও নেশা। এই মামলাবাজ দম্পতি মামলা দায়ের করে হুমকী প্রদান পূর্বক প্রতি মামলা বাবদ বিবাদীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। এই দম্পতি দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার সাধারণ মানুষদেরকে মামলার ফাঁদে ফেলে সর্বস্বান্ত ও নি:স্ব করে দিচ্ছে। আর এভাবেই এই দম্পতি গড়ে তুলেছে তাদের অবৈধ অর্থের সা¤্রাজ্য। এই মামলাবাজ দম্পতির অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে কিছুদিন আগে এলাকার সাধারণ জনগন এদেরকে গণধোলাই দিয়ে এলাকা থেকে বের করে দেয়। কিন্তু কিছুদিন পরে তারা পুনরায় এলাকায় ফিরে আসে এবং পুনরায় তাদের মামলাবাজির ব্যবসা চালু করে। এছাড়াও এই দম্পতির বিরুদ্ধে রয়েছে মাদক বিক্রির মত গুরুতর অভিযোগ। সম্প্রতি ইপিজেড থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) আপ্যায়ন বড়–য়া ও মোঃ মজিদ এই দম্পতিকে ইয়াবাসহ হাতে নাতে গ্রেফতার করে। পরবর্তীতে আর কখনো মাদক বিক্রি না করার শর্তে ও দশ হাজার টাকা মুচলেকার বিনিময়ে তারা থানা থেকে মুক্ত হয়। এই মামলাবাজ দম্পতির করা মামলায় ইতিমধ্যে সব হারিয়ে রাস্তায় নেমে গেছে অনেক পরিবার। কখনো নির্যাতন, কখনো ধর্ষণ আবার কখনো চাঁদা দাবীর কথা উল্লেখ করে মামলা করে এই দম্পতি। আর এই মামলাবাজ দম্পতিকে পেছন থেকে নেতৃত্ব দেয় এলাকার কথিত পল্লী চিকিৎসক এম কে বড়–য়া প্রকাশ মিন্টু বড়–য়া ও তার নেতৃত্বাধীন একদল মাদকাসক্ত যুবক। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় মিন্টু বড়–য়া চেক আপের নামে মহিলা রোগীদের শারিরীকভাবে হেনস্তা করে থাকেন। এছাড়াও তার ফার্মেসীতে রয়েছে বিভিন্ন যৌন উত্তেজক টেবলেট ও সিরাপ। যা তিনি গোপনে মোটা অংকের বিনিময়ে এলাকার উঠতি বয়সী তরুনদের নিকট বিক্রি করেন। সম্প্রতি যৌন উত্তেজক ঔষধ বিক্রির সময় তাকে হাতে নাতে গ্রেফতার করে ইপিজেড থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মোঃ ইসমাইল। পরে পনের হাজার টাকা মুচলেকার বিনিময়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই মিন্টু বড়–য়া মামলাবাজ দম্পতি আসমা-কামালকে আর্থিক ও কৌশলগতভাবে সহায়তা করে থাকেন। এই মামলাবাজ দম্পতির বিরুদ্ধে এলাকার কেউ যদি মুখ খুলে তবে তাদেরকে মেরে গুম করে ফেলার হুমকী দেওয়া হয়। এই মামলাবাজ দম্পতির বিষয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন যে, এই দম্পতি আমাদের এলাকার বিষফোড়া। এই মামলাবাজ দম্পতি যতদিন আমাদের এলাকায় থাকবে ততদিন আমরা কেউই শান্তি পাবনা। এরা পান থেকে চুন খসলেই আদালতে মামলা করে, আর এদের সহযোগী কথিত চিকিৎসক মিন্টু বড়–য়া এদেরকে ভূয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরীতে সহায়তা করে। আমরা চাই অচিরেই এই মামলাবাজ দম্পতি ও তাদের সহযোগীদের মুলোৎপাটন করে এদেরকে এই এলাকা থেকে বিতাড়িত করা হোক। এই মামলাবাজ দম্পতি ও তাদের সহযোগী মিন্টু বড়–য়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপুলিটন পুলিশ (সিএমপি)’র বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আরেফিন জুয়েলের সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের বলেন এসকল প্রতারক মামলাবাজ ও কথিত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে আমাদের গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত রয়েছে। আমরা যথাসময়ে এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করব। এ বিষয়ে জানতে মামলাবাজ দম্পতি আসমা-কামাল ও মিন্টু বড়–য়ার সাথে যোগাযোগ করলে তারা বিষয়টিকে সুকৌশলে এড়িয়ে যায়। বন্দরটিলাস্থ কসাই গলি এলাকার সাধারণ মানুষদের এখন একটাই দাবী যত দ্রুত সম্ভব এই মামলাবাজ দম্পতি ও তাদের সহযোগীদেরকে আইনের আওতায় এনে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *