গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে চিলমারীতে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর হাত থেকে ফুল কেড়ে নিলেন ইউএনও- শিরোনামে একটি সংবাদ দৈনিক যুগান্তর ও আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত হয় । উক্ত প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চিলমারী উপজেলা কমান্ড,কুড়িগ্রামের পক্ষ থেকে আজ ( মঙ্গলবার) উক্ত প্রকাশিত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে।
সকালে বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চিলমারী উপজেলা কমান্ড কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ ব্যাপারে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ,চিলমারীর সাবেক কমান্ডার মোঃ আব্দুল মান্নান। তিনি তার লিখিত বিবৃতে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে চিলমারী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সজ্জিত করা হয় এবং বিজয় দিবসে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারকে রজনি গন্ধার স্টিক ও উন্নত কম্বল উপহার প্রদান করা হয়। এছাড়াও দুপুরে খাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্ত দৈনিক যুগান্তর, চিলমারী উপজেলা প্রতিনিধি গোলাম মাহাবুব ও আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি মমিনুল ইসলাম বাবু , সরকার ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিজয় দিবসের পরের দিনের পত্রিকা দু’টিতে উপজেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে জড়িয়ে ভূয়া ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে। মুক্তিযোদ্ধারা উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিক দ্বয়ের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। বিবৃতিতে আরও বলা হয় ,যুগান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি মাহাবুব ছাত্র জীবনে কারমাইকেল কলেজে ছাত্র শিবির কর্মী ছিলেন ও আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি মমিনুল ইসলাম বাবু বিএনপিপন্থী সাংবাদিক।
এ সময় যে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে ঘিরে এই সংবাদ ও সংবাদের প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয় উক্ত শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলীর স্ত্রী মোছাঃ রেজিয়া বেওয়া স্বাক্ষরীত একটি লিখিত বক্তব্য একই সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করে শোনান শহীদের পুত্র আলম। উক্ত লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিজয় দিবসের দিন রেজিয়া বেওয়া দেরিতে বিজয় উৎসব আয়োজিত মাঠে উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি সব পিছনের সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় সাংবাদিক মাহাবুব, সোহেল ও মমিনুল তার নিকট এসে তাকে ডেকে নিয়ে বলে, মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে নাকি ফুল ও কম্বল দেয়া হবে না। তাদের কথা মতো কথা বললে, তারা ইউএনও এর নিকট থেকে কম্বল ছাড়াও ২০ হাজার টাকা নিয়ে দেবে। এরপর তারা তাদের মতো করে যা বলে , সেই সাজানো কথা তখন তিনি না বুঝেই বললে, তারা তা সঙ্গে সঙ্গে ভিডিও করে। এদিকে ইউএনও সাহেব উক্ত রেজিয়া বেওয় কে খুঁজে বেড় করে তার হাতে ফুল ও কম্বল তুলে দেন। এরপর সাংবাদিক সোহেলসহ কয়েকজন উক্ত মহিলার বাড়িতে যায় এবং পূর্বের ধারণকৃত রেকর্ড তাকে শুনিয়ে তার স্বামীর কাগজ পত্রের ছবি তোলে ও আবারও রেকর্ড করে। তিনি লিখিত বক্তব্যে উক্ত সাংবাদিক গণের শাস্তি দাবি করেন।
সংবাদ সম্মেলনে এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,বীর মুক্তিযোদ্ধা সর্ব জনাব সাবেক আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ, চিলমারী শাখার মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহিম, সাবেক ডিপুটি কমান্ডার মোজাফ্ফর হোসেন, প্রশিক্ষক শাহাজাহান, আব্দুল বারী মন্ডল, আব্দুল মান্নান, আব্দুল মজিদ আর্মি, আয়নুল হক মোল্লা, আব্দুল হাই মিলনসহ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও আরও অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *