রৌমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ

গত কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টির কারনে, উজানের ভারতের আসাম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদ সহ ছোট নদী গুলোর পানি উপচে বন্যায় প্লাবিত হয়েছে রৌমারীর নিম্নাঞ্চল। কৃষকের অনেক জমির ফসল অধ্য নিমজ্জিত এবং নিমজ্জিত হয়েছে। এতে বোর ধান,ভুট্টা,পাট,চিনা,কাউন,তিল,মরিচ, এবং বিভিন্ন শাকসবজিসহ রৌমারী উপজেলার কৃষকের প্রায় ৩৫৫ হেক্টর জমির ফসলের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। এতে হাজার,হাজার কৃষক চরম বিপাকে পড়েছে।

রৌমারী উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আমিনুল ইসলাম (কাজল) বিভিন্ন এলাকায় সরে জমিনে ঘুরে এসে বলেন- কয়েক দিন ধরে একটানা বৃষ্টি ও ভারি বর্ষনের কারনে রৌমারী উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে প্রায় ২১৫ হেক্টর জমির বোর ধান অর্ধ নিমজ্জিত হয়েছে এবং অনেক জমির ধান তলিয়ে গেছে এছাড়াও প্রায় ১৪০ হেক্টর নিচু জমির পাট,তিল,কাউন,চিনা,মরিচ,বিভিন্ন শাকসবজিসহ , অন্য ফসল অর্ধ নিমজ্জিত হয়েছে এবং অনেক জমির ফসল তলিয়ে গেছে।

রোববার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় উপজেলার ডিসি রাস্তার পশ্চিম পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের পূর্বপাড়ের এলাকাগুলো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে – ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা গুলো হল চরশৌলমারী ইউনিয়নের চরঘুঘমারী, চরখেদাইমারীর সাহেবের আলগা, খেরুয়ারচর, মিয়ারচর, বলদমারা, খেদাইমারী, খেয়ারচর।

বন্দবের ইউনিয়নের বলদমারা এলাকার কৃষক আঃ বাতেন বলেন- হঠাৎ করে আগাম বন্যা হওয়ার কারনে আমার ৪ বিঘা চিনা, ২ বিঘা তিল এবং মরিচ এর ক্ষেত সব পানির নিচে তলিয়ে গেছে এতে আমি অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।

উপজেলার ডিগ্রির চর গ্রামের কৃষক আঃ হাই, বারেক মিয়া, আঃ সবুর মিয়া, মো.নজির ইসলাম বলেন- ভারতের আসাম থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢোলে আমাদের তিল,কাউন,চিনা,শাকসবজি সহ পাটের জমি গুলো তলিয়ে গেছে। এতে আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামের কৃষক আনিছুর রহমান বলেন-মাদাইডাঙ্গা বিলে তাদের প্রায় ১০ বিঘার মতো জমি রয়েছে। জলাবদ্ধতার কারণে সে জমিগুলতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়। সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে জমির ধান বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যায়। এবারও ভারি বৃষ্টির কারনে অনেক ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে , সময় মতো ধান ঘরে তুলতে পারলেও পানিতে অনেক ফসল নষ্ট হওয়ায় ফলন অনেক কম হয়েছে । ধানের জমি গুলোতে পানি আটকে থাকার কারনে ৪০০ টাকার শ্রমিক এখন ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা করে নিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে এতে আমরা অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।

রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধুরী বলেন- কয়েক দিন ধরে একটানা বৃষ্টি ও আগাম বন্যায় উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে বোর ধান,পাট,তিল,কাউন,
চিনা,মরিচ,শাকসবজিসহ কৃষি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *