নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকায় দন্তচিকিৎসক আহমেদ মাহী বুলবুল হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এই তথ্য জানিয়েছে।

বুধবার বিকালে ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে ডিবি।

গ্রেফতার যুবকের নাম মো. রিপন (৩০)। তিনি বুলবুল হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

গত ২৭ মার্চ ভোরে রাজধানীর মিরপুরের কাজীপাড়ায় ছিনতাইকারীদের হাতে সংঘটিত চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডে এ নিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলো।

ডিবির মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার ১৬ জুন বৃহস্পতিবার সকালে গণমাধ্যমকে জানান, এই হত্যার ঘটনায় আগে গ্রেফতার ব্যক্তিদের জবানবন্দিতে রিপনের নাম আসে। এই তথ্যের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বুলবুল হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন রিপন। তিনি ছিনতাইকারী দলটির নেতা।

ডিবির এই কর্মকর্তা বলেন, বুলবুলকে হত্যার পর রিপন নলছিটিতে পালিয়ে ছিলেন। তার বাড়ি ওই এলাকায়।

ডিসি মানস কুমার পোদ্দার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে রিপন জানিয়েছেন, বুলবুলের সঙ্গে থাকা টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নিতে তারা পাঁচজন মিলে তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। বুলবুলের সঙ্গে ১২ হাজার টাকা ছিল।

বুলবুল হত্যায় আগে গ্রেফতার চারজন হলেন আরিয়ান ওরফে হাফিজুল ওরফে হৃদয় (৩৯), সোলায়মান (২৩), রায়হান ওরফে আপন ওরফে সোহেল (২৭) ও রাসেল হোসেন হাওলাদার (২৫)।

এর আগে হৃদয় ও সোলায়মান ইতিমধ্যে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

তার বলেছেন, তারা পাঁচজন গত ২৬ মার্চ দিবাগত রাত ২টা থেকে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ঘোরাঘুরি করছিলেন। বুলবুল যখন রিকশায় করে পশ্চিম কাজীপাড়ার নাভানা ফার্নিচারের সামনে আসেন, তখন তারা তার গতিরোধ করেন। এ সময় দলনেতা রিপনসহ অন্যরা বুলবুলের কাছে যা আছে, তা দিয়ে দিতে বলেন। বুলবুল দিতে রাজি না হলে তাঁদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। একপর্যায়ে মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার সময় বাধা দিলে বুলবুলকে ছুরিকাঘাত করেন রিপন।

বুলবুল হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী শাম্মী আক্তার বাদী হয়ে মিরপুর থানায় একটি মামলা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *